ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম (সাম্য) হত্যা মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এসএম শাহরিয়ার আলম (সাম্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এছাড়া, এই ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বিকেল পৌনে ৫টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিং করবেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন সুজন সরকার নামে আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। আর রিপন নামে গ্রেপ্তার আরেকজন আদালতে দোষ ‘স্বীকার করে’ জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট আট আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এরপর ১৪ মে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই ঘটনার রাতেই শাহবাগ থানার পুলিশ তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিক নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।