ভেজাল আর নকলে সয়লাব রাজধানীর মিটফোর্ড পাইকারি ওষুধের বাজার। শুধু তাই নয় সরকারি ঔষধেও পাওয়া যাচ্ছে এইসব দোকানগুলোতে, বেশি মুনাফার লোভে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে এসব ওষুধ ছড়িয়ে দিচ্ছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দাবি করে ফার্মাসিস্টরা বলছেন, বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ না থাকায় ঠেকানো যাচ্ছে না ভেজাল ও নকল ওষুধ ব্যবসা। রাজধানীতে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তৎপরতা না থাকলেও নিয়মিত অভিযানের দাবি ওষুধ প্রশাসনের।
ওষুধের বাজার নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব আজ।
ওষুধের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড। এখানে বিভিন্ন নামি দামি ওষুধ প্রতিষ্ঠানের পাশপাশি জায়গা করে নিয়েছে সরকারি ও অপরিচিত, অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের ভুয়া ও নকল ওষুধ,। নির্দিষ্ট দোকানে পাওয়া যায় এসব। দেখতে হুবহু আসল ওষুধের মতো হলেও গুণগত মান আর দাম ফারাক আকাশ পাতাল।
★মিটফোর্ডের হাসপাতালের ২ নাম্বার গেটের ২১২ নাম্বার গলি মিটফোর্ড মেডিসিন মার্কেটে পাওয়া যায় বিভিন্ন ফুড সাপলিমেন্ট ও অনিবিন্ধিত ওষুধ। এছাড়া সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন মার্কেট সমিতির সভাপতি রিপন হোসেন এবং তার সাঙ্গপাঙ্গ নান্নু, শামচু, মুরাদ, সুমন সহ আরো অনেকে । এসময় তিনি সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও নকল ওষুধ বিক্রির অপরাধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কয়েকবার ধরা পড়েন জে জে আর ফার্মেসী সহ ভিতরে একাধিক দোকান।
তারপরও বীরদর্পে চলছে এসব ভুয়া ও নকল ওষুধের রমরমা ব্যবসা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যান্সারসহ নানা মরণব্যাধি রোগের অন্যতম কারণ ভেজাল ও মানহীন ওষুধ। শুধু মোবাইল কোর্ট নয়, আইনের প্রয়োগ না থাকায় বন্ধ হচ্ছে না নকল ও ভেজাল ওষুধ সরবরাহকারীদের দৌরাত্ম।
অন্যদিকে, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে সরকারের তেমন কোন তৎপরতা চোখে না পড়লেও নিয়মিতি জেল জরিমানার কথা দাবি করছে ওষুধ প্রশাসন।