নারায়ণগঞ্জে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি পালন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে নারায়ণগঞ্জের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা এখনো আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আমরা ৯ দফা দাবি ঘোষণা করেছি এবং আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।”
মহানগরের আহ্বায়ক মাহফুজ খান বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পরেও হামলাকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ আন্দোলনকারী ছাত্রদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এমন দ্বৈতনীতি আইন ও বিচার ব্যবস্থায় চলতে পারে না।”
কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা আহ্বায়ক নিরব রায়হান, সদস্য সচিব জাবেদ আলম, মহানগরের আহ্বায়ক মাহফুজ খান, সদস্য সচিব হৃদয় ভূইয়াসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
পরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতাকর্মীরা।
দাবি সমূহ: ১. জুলাই বিপ্লবে নারায়ণগঞ্জে সংগঠিত অস্ত্রধারী হামলা, খুনসহ সব অপরাধের আসামিদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার; ২. জুলাই বিপ্লবের মামলায় প্রকৃত আসামিদের জামিন বন্ধ ও মুক্ত আসামীদের পুনরায় গ্রেপ্তার, পাল্টা হয়রানিমূলক মামলার নিষ্পত্তি; ৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে দলীয় প্রভাব বন্ধ ও সদস্যদের অপসারণ; ৪. নারায়ণগঞ্জকে বিশেষ জেলা ঘোষণা, নদী পুনরুদ্ধার, যানজট নিরসনে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা; ৫. চাঁদাবাজি, মাফিয়াগিরী, দখলদারিত্ব বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি; ৬. জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও স্থাপনার নামকরণ; ৭. নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও উন্মুক্ত পাঠাগার স্থাপন; ৮. রসুলপুরসহ পরিবেশ দূষণকারী মিল ও ইটভাটাগুলো অপসারণ; ৯. ভূমি অফিসসহ সরকারি দফতরে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত।