ভুয়া প্যারালাইসিস সার্টিফিকেট দেখিয়ে আইন এড়াচ্ছে নাজির ফকির
সন্ত্রাস, ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলায় অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজির হোসেন ফকির ভুয়া প্যারালাইসিস (পক্ষাঘাত) মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে আইনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের দাবি, তিনি নিয়মিত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান এবং চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাজির ফকিরের উত্থান নিয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য চাঞ্চল্যকর। এক সময় তার মা অন্যের বাড়িতে মসলা বাটার কাজ করতেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ছত্রচ্ছায়ায় তিনি রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্ত্রাস, জবরদখল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন।
নাজির ফকির ইতিমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে সৈয়দপুর এলাকায় ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং সরকারি কাজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর তিনি ভুয়া প্যারালাইসিস সার্টিফিকেট জোগাড় করে বাড়িতে অবস্থান করলেও, বাস্তবে তিনি সুস্থভাবে চলাফেরা করছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
তার বিরুদ্ধে সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে তহবিল আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া, সরকারি প্রকল্পে কমিশন খাওয়া এবং দলীয় পদকে পুঁজি করে অসাধু উপার্জনের কথাও বলছেন অনেকে।
নাজির ফকিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও ক্ষমতার বলয়ে থেকে তিনি রক্ষা পাচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা র্যাব, ডিবি ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাজির ফকিরের বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষমতার দাপটে কিভাবে একজন অপরাধী বারবার আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছেন—এটি নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে এখন বড় প্রশ্ন।