প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৩, ২০২৫, ১১:৩৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৩, ২০২৫, ৭:৫৮ এ.এম
মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে
মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ের জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান রায়ের মাধ্যমে এই দিনটি ধার্য করা হয়।
মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের সামনে তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন।চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল বলেন, “এর আগে সোমবার (১২ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই যুক্তিতর্ক উপস্থাপনটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়”।তিনি জানান, মামলার মোট ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন ছিলেন বিভিন্ন আলামত জব্দের সাক্ষী।১২ জন জব্দকৃত আলামতের সত্যতা আদালতে প্রমাণ করেছেন। জব্দ করা আলামতকে আদালতে সত্যায়ন করেছেন। মামলায় যে তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট উপস্থাপন করা হয়েছিল, যার প্রত্যেকটিতে পাঁচজন চিকিৎসক সাক্ষ্যর দিয়েছেন।
এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে আদালতে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ৯ এর দুই ধারাকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ রূপে সক্ষম হয়েছেন।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। ধর্ষণের পর শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া।এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে।মামলার মূল আসামি ধর্ষিত শিশু আছিাির বোনের শশুর হিটু শেখ। ১৫ মার্চ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন, যেখানে তিনি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার দায় স্বীকার করেছেন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন গত ১৩ এপ্রিল আদালতে চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
Copyright © 2025 AlorDhara24. All rights reserved.