‘রাতভর নাটকীয়তার পর সকালে গ্রেপ্তার হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী’।
অভিযান শুরু হওয়ার প্রায় সারে ছয় ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার হন নারায়ণগঞ্জ সিাট কর্পোরেশনের পরপর নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।সময় শুক্রবার সকাল পনে ছয় টা। সেখানে অবস্থান করেছিলেন বিপুল সংখক মানুষ।
আইভীর গ্রেপ্তারের সংবাদ সারা দেশে ছরিয়ে পরায় পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেন বিভিন্ন রাজনীিতিক, সংস্কৃতি কর্মী ও সাংবাদিকরা। তাদের মাধ্যমে জানা গেছে যে, সন্ত্রাসের জনপদখ্যাত নারায়ণগঞ্জ বাস্তবতায় একজন নারী জনপ্রতিনিধির লড়াই, সংগ্রামও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন চরিত্রের বিষয়টিও। এছারাও গত বছর কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন চালান আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা- কর্মীরা পালিয়ে গেলেও নিজ বাড়িতেই অবস্থান করেছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় আইভীর বাড়িতে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য অবস্থান নেয়। তখন আইভীর বাড়ির প্রবেশ পথের দুই রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকার মানুষজন সাথে আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীরাও।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসিনুজ্জামান বলেন, “সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে”। রাতে তাকে গ্রেফতার করতে আসলে তিনি পুলিশের সঙ্গে যেতে রাজি হয়নি। পরে তিনি বলেছেন, ভোরে যাবেন। তিনি কথা মতই ভোরে আমাদের কাছে আসলে তার বাসার দরজার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করেছি। তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন। আইভীকে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হবে।