দেশের সব এলাকাতেই বৃদ্ধি পেয়েছে তাপমাত্রা। আর গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে তরমুজের চাহিদাও বেড়েছে দ্বিগুণ।তরমুজের চাহিদা যতটা ছিল, রমজানের পরে এপ্রিল মাসে গরম বেড়ে যাওয়ায় এই চাহিদা এখন তুঙ্গে। নারায়নগঞ্জ জেলা জুড়েও বেড়েছে তরমুজের চাহিদা।
বুধবার (১২মে) সকালে নারায়নগঞ্জ জেলা শহরের বাজার স্টেশন,কালির বাজার, এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর গড়াতেই বাজারে আড়তে তরমুজ কিনতে ভিড় করেন ব্যবসায়ীরা।
তাছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বাজারজুড়ে এখন তরমুজের বেচাকেনা চলছে জমজমাটভাবে।
প্রতিটি বাজার ছাড়াও শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লার বেশ কিছু স্থানে বসেছে তরমুজ বিক্রির দোকান। এর পরেও ভ্যানে করে তরমুজের টুকরা বিক্রি করছে প্রতিটি স্কুল-কলেজের সন্নিকটে।
এ ব্যাপারে ভ্যানে তরমুজ (টুকরা) বিক্রেতা রহিম জানায়, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা টুকরা তরমুজ কিনে থাকে। বেচা কেনাও ভালো। এ দিয়েই চলে আমার সংসার ও ছেলে মেয়ের পড়াশোনা।
তরমুজ ভালো কিংবা মন্দ, এটা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় না থাকায় দামাদামি করে ক্রেতাকে তরমুজ কেটে ভেতরের অবস্থা দেখিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতা।
মান ভেদে তরমুজ কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এলাকার তরমুজ বিক্রেতা এমদাদুল হক বলেন, তীব্র গরমের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে তরমুজ বিক্রি। আগে যেখানে দিনে ২০-২৫টি তরমুজ বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-৫০টিতে।
কালির বাজারের তরমুজ বিক্রেতা আমিনুল বলেন, মানুষ আর কিছু কিনুক বা না কিনুক, ছোট কিংবা বড় একটা তরমুজ কিনে নিয়েই যাচ্ছে। বেচা-বিক্রিও ভালো হচ্ছে। বাজার স্টেশনের এক বিক্রেতা বলেন, এবার গরম শুরু হতেই চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও মানুষ কিনছে নিয়মিত।
নারায়নগঞ্জ নাসিম পৌর কাঁচাবাজারে আড়তদার হানিফ জানায়, প্রতিদিন সকাল বেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে খুচরা বিক্রেতারা আমাদের এখান থেকে পাইকারি দরে তরমুজ নিয়ে থাকে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা প্রতিমন তরমুজ ১২ শত থেকে সাড়ে ১২ শত টাকা দরে বিক্রি করে থাকি।
এদিকে এক ক্রেতা শরিফুল ইসলাম জানান, গরমে ঠান্ডা খাবারের বিকল্প নেই, আর তরমুজ হচ্ছে সবচেয়ে সহজলভ্য ও উপকারী ফল। শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির বদলে এবার তরমুজ নিয়ে যাচ্ছি। চলমান তীব্র গরমে তরমুজের চাহিদা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গরম থাকলে বাজার পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
নারায়নগঞ্জ শহরের মেডিনোভা হাসপাতালের পরিচালক, ডাঃ আকরামুজ্জামান বলেন, চলমান গরমে তরমুজ মানুষের পানি শূন্যতা দূর করে। তাছাড়াও তরমুজ পুষ্টিকর একটি ফল।
উল্লেখ্য, শহরের বাজার ,স্টেশন বাজার,বড় বাজার সহ ফুটপাত এবং স্কুল-কলেজের পাশে আস্ত তরমুজ কেটে টুকরা হিসেবে বিক্রি করা হয়। এতে অল্প পয়সার মানুষও তরমুজ নিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করছেন।