Sunday , 11 May 2025 | [bangla_date]
  1. Alor Dhara24 News
  2. অন্যান্য
  3. আড়াইহাজার
  4. এন আই সি ইউ
  5. ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল
  6. খেলা
  7. খেলাধুলা
  8. ধর্ম
  9. নারায়ণগঞ্জ
  10. নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহত্তর শিমরাইল উপ কমিটির অফিস উদ্বোধন
  11. নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ
  12. পলাশ সাহা
  13. ফতুল্লা
  14. বন্দর
  15. বাংলাদেশ

স্ত্রী চেয়েছিল মা আলাদা থাকুক, মা ভক্ত পলাশ সাহা তা পারেনি,শেষ পযর্ন্ত নিজেই চ’লে গেল

প্রতিবেদক
AlorDhara24
May 11, 2025 10:57 am

পুরুষ রা কাঁদে  না। অথচ এই কাঁদতে না পারা ছেলেটি  আজ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে দুনিয়া থেকে ।একজন  পুরুষ শুধু অর্থ রোজগারের  মেশিন নয়,সে একজন সন্তান ,সে একজন স্বামী।

তার চেয়ে বড় কথা সে একজন মানুষ।‘‘পলাশ সাহা’’এর অর্থ ছিলো ক্যারিয়ার ছিলো ,ও পরিচিত ছিলো।কিন্তু শেষ পযর্ন্ত হেরে যেতে হলে মানষিক লড়াইয়ে।

অন্য দিকে একজন মা,যিনি অনেক কষ্ট করে ছেলেকে বড় করেছেন।নিজে না খেয়ে খাইয়েছেন তার সন্তানকে সব রকমের প্রতিকুল শেষ করে করিয়েছেন পড়াশোনা।স্বপ্ন ছিলো একটাই যে, ছেলে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে,সমাজে পরিচিত হবে এবং সম্মান পাবে।

আর তিনি জীবনে শেষ দিন গুলোতে ছেলের কাছে থেকে শান্তি ভালোবাসা ও নিরাপওায় কাটাবেন।মায়ের সেই স্বপ্ন পূরন হলো। ছেলে পলাশ সাহা একজন  বড় পুলিশ অফিসার হলেন, তিনি হলেন‘‘এ এস পি’’ মা ভাবলেন এবার তার সব দুঃখ দূর হবে এবং শান্তিতে থাকতে পারবেন।

কিন্তু তার ভাবনা ছিলো সম্পূন ভূল।বিয়ের  আগে সব ঠিক থাকলেও বিয়ের পর পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা শাহ জানিয়ে দিলেন তিনি তারশাশুীড় সাথে সংসার করবে না।তিনি আলাদা সংসার চান?

কিন্তু ‘‘পলাশসাহা ’’এমন ছেলে ছিলেন না যে মায়ের কষ্ট দেখে চুপ হয়ে  থাকবেন। তার কাছে মা ই ছিলেন সব।এ আবস্থায় ‘‘পলাশ সাহা ’’অসহায় বৈধ কর ছিলেন।্এক দিকে  তার  মা ,যিনি তার  জীবনে সব কিছু ত্যাগ করেছেন।অন্য দিকে তার স্ত্রী যাকে তিনি খুব ভালোবাসতেন পলাশ হয়তো এই ভেবে

চিন্তা করতেন।আমার মা আমার জন্য এত কিছু করলো। আর আমার স্ত্রী বলছে আমার মায়ের সাথে থাকবেনা।এটা কি ঠিক হচেছ। সুস্মিতার  একের পর এক  আভিযোগ। শর্ত  আর মানষিক চাপের খুবি কোনসঠি হয়ে পড়েছিলো।

তবু ও তিনি মা বা স্ত্রীকে  কাউকে ছাড়েনি হয়তো ভেবে ছিলেনে সময়ের সাথে সাথে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।পলাশ তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারতেন?কিন্তু তা করেন নি।স্ত্রী প্রতি তার ভালোবাসা ছিলো অনেক ,তিনি তার সংসার টিকে রাখার জন্য তাদের ২ জনের মধ্যে  একটা বোঝাপরাটা  করার চেষ্টা করেছিলেন।টাকা সম্মান ও সমাজের পরিচিতি সব থাকার সওে পলাশে মন ছিলো অশান্তি।

তিনি সারাক্ষন  একটা মানষিক চিন্তার মধ্যে থাকতেন। এত কিছুর পরের তিনি  কখনো মায়ের  প্রতি দায়িত্ব  অবহেলা করেনি।

পলাশ সাহা এর জীবনে দু:খের ঘটনা ঘটে। যখন তার স্ত্রী তার মায়ের গায়েঁ হাত তুলেন। এই ঘটনা পলাশের জন্্য অনেক দুঃখজনিত ঘটনা খুব কঠিন ছিলো।

যে মা তাকে এত কষ্ট করে বড় করেছেন তার সপ্ন পূরন করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ  করেছেন। সে মা তার যখন স্ত্রীর হাতে অপমানিত হলেন তখন তিনি যেন ভেঙ্গে পড়লেন। ভাবলেন আমি আমার মা কে কি ভাবে মুখ দেখাবো।যে মা আমার জন্য সব কিছিু করেছেন,তাকে কি না আমি এমন অপমানিত হতে দেখলাম।

পলাশের ’জন্য এত গভীর ছিলো যে,তিনি আর বেঁচে থাকতে চাইলেন না। নিজের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে তিনি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন।আর তার  এই সিদ্ধান্ত ?খুব বেদনা ছিলো।কিন্তু  তার মায়ের প্রতি তার গভীর ভালোবাসার প্রমান।

মায়ের দুঃখও সহ্য ছিলো। এই ঘটনার পর ।আমাদের কিছু প্রশ্ন সামনে আসে ;এখনে অনেক মেয়ে বিয়ের পর,স্বামীর মা বাবা কে নিজের শাশুড়ী  মনে করে।কেনো আলাদা  থাকা কথা আধুনিকতা বলে মনে হয়।পলাশ সাহার গল্প  আমাদের একটা অন্ধকার দিক  তুলে ধরে, সমাজে এমন অনেক পরিবার  এ শাশুড়ি ও বউয়ের মধ্যে খারাপ থাকার কারনে সংসার ভেঙ্গে যায়।

শুধু একজনের দায়িত্ব নয়। পরিবারের  সবাইকে এক সাথে থেকে তার সমাধান করতে হবে।এতে করে সবাই ভালো থাকবে।  আর একজন বউয়ের উচিত শাশুড়িকে মায়ের মতো দেখা আর একজন শাশুড়ির উচিত বউকে তার নিজের মেয়ে মতো করে সংসারে রাখা।

সর্বশেষ - বাংলাদেশ