সিদ্ধিরগঞ্জ ২নং ওয়ার্ডের মিজমিঝি দক্ষিনপাড়া এলাকার কাজেম আলী ভ‚ইয়ার পুত্র সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আমিনুল হক ভ‚ইয়া রাজু ও তার সহযোগী জাকির, কবির, মনির, আলমগীর ও সফি ভ‚ইয়াকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার মুর্তিমান আতংক উক্ত আমিনুল হক রাজু দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা জুড়ে মাদক ব্যবসা ভ‚মি দুস্যতা বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাঁদাবাজী জোরপূর্বক জমি দখল নতুন কোন ভবন নির্মান করতে চাঁদা আদায় ট্রেক্সি ট্যান্ড দখল সহ অসংখ্য অপরাধের সাম্রারাজ্য পরিচালনার জন্য গড়ে তোলে এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী এই বাহিনীর কাছে রয়েছে বিপুল অধুনিক আগ্নে অস্ত্র চাঁদাবাজী করে উক্ত রাজু শূন্য থেকে বর্তমানে কোটিপতি নিজে নির্মান করেছেন বিশালবহুল আট তলা ভবণ। প্রথম স্ত্রীর পিতা নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মাদক স¤্রাট বাদল এর হাত ধরেই মাদক ব্যবসার জগতে প্রবেশ করে রাজু। দ্বিতীয় স্ত্রীর পিতা দেলোয়ার হোসেনও একজন নামকরা মাদক ব্যবসায়ী ১৯৯৬ সনে আলোচিত মতিন হত্যা মামলায় প্রধান আসামী ছিল উক্ত রাজু। এরপরে স্থানীয় আলমাছ কে চাকু দিয়ে এলোপাথারী জমখ করে এবং সরকারি সার্ভেয়ার আব্দুর রব এর হাত কেটে নিয়ে আলোচনায় আসে উক্ত রাজু। আলোচিত সাত খুন মামলায় প্রথম আসামী হলেও মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েও ওসমান পরিবারের ক্ষমতায় চার্জসীট থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ায়। বিগত আমলে অনেক ভুক্তভোগি তার বিরুদ্ধে অনেক গুলো মামলা করেছেন। বর্তমানে তার মমলার সংখ্যা ২২টি। তার সাথে শামীম ওসমান, লিপি ওসমান ও শাহনিজামের ছিল ধহরমমহরম সম্পর্ক যে কারণে কোন মামলায়ই তাকে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হতে হয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে সর্বাক্ষনিক তার বাহিনী নিয়ে অধুনিক অস্ত্রে সজ্জে সজ্জিত হয়ে শাহনিজামের গাড়ী বহরে ছিল এমনকি শামীম ওসমান সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিল সেই মহড়ায়ও রাজু ও তার বাহিনী উপস্থিত ছিল। সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহত পরিবারের পক্ষ থেকে যে কয়টি মামলা হয়েছে সব কয়টি মামলায়ই উক্ত রাজু আসামী হওয়া স্বত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালী এক বিএনপির নেতাকে ম্যানেজ করে অদ্যবধি পর্যন্ত সে বহাল তবিয়তে আছে। নিজে ঢাকাতে অবস্থান করলেও তাহার বাহিনীর অন্যান্যরা এলাকায়ই অবস্থান করে উক্ত রাজু এখনও বিভিন্ন মিল কারখানার মালিকদের ও বিভিন্ন জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাকে মোবাইলে হুমকী দিয়ে চাঁদা দাবী করে যাচ্ছে, পাশা-পাশি তার অনুসারীরা বর্তমানেও এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় বিএনপির নেতাকে ম্যানেজ করে প্রায়ই গভীর রাতে ও খুব সকালে এলাকায় এসে তার অনুসারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযেগা করে যাচ্ছে। পাশা-পাশি অবৈধ টাকা দিয়ে শামীম ওসমানের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় তার অনুসারীদের দিয়ে অস্থিতিশিল অবস্থার সৃষ্টি করার পায়তারা করিতেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন ২২টি মামলার আসামী হয়েও কিভাবে কোন অদৃশ্য শক্তি বলে উক্ত সন্ত্রাসী রাজু ও তার সহযোগীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভুক্তভোগী জানান অবিলম্বে উক্ত সন্ত্রাসী গডফাদার রাজু ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার না করলে এলাকায় মারাক্ত শান্তি শৃঙ্খলা অবনতির আশংখা রয়েছে।