নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডে তাজুল ইসলাম ও জহির দুই ভাইয়ের দাপটে অতিষ্ঠ কদমতলী এলাকাবাসী। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিপনের সহযোগিতায় ও ছত্রছায়ায় থেকে বড় ভাই তাজুল ইসলাম সমাজ সেবকের অন্তরালে ছোট ভাই জহিরকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব। বিগত সময়ের রাজত্ব ফিরে পাওয়ার আশায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে নামধারী কিছু বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় পুনরায় নিজেদের অতীত রুপে ফিরেছে এ দুই ভাই। এছাড়া এ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ, চাঁদাবাজি, জমি দখল, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্য, মার্কেট দখল মাদক ব্যবসার মতো অসংখ্য কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
কদমতলী এলাকাবাসী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বড় ভাই তাজুল ইসলাম সমাজ সেবকের অন্তরালে এলাকায় এমন কোন অপরাধ নেই যে তিনি না করেছেন। এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ মাদক ব্যবসা ও সেল্টার দেওয়া সহ জুট সিন্ডিকেটে প্রভাব প্রয়োগ করেছেন। বর্তমানে কিছু বিএনপি নেতা সহ তার সহযোগিতায় ছোট ভাই জহির এলাকায় পুনরায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, কদমতলী এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন স্পটে মাদক বিক্রি ও সেবনকারীদের আশ্রয়দাতা এবং শেল্টার দাতা জহির ও তার বড় ভাই তাজুল ইসলাম। বিগত আওয়ামী লীগের সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের জোক-সাজসে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন এ দুই ভাই। এখন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপি’র নামধারী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় তারা পুনরায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রায় সময় তাজুল ইসলাম তার নিজ বাড়িতে নিজের আধিপত্যকে কিভাবে আরো প্রসার করা যায় এই নিয়ে বিএনপি নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করেন।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছু কয়েকজন স্থানীয়বাসিন্দা বলেন, জহির তার দলবল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে কেউ কোন প্রতিবাদ করলে রাতের বেলা এলাকায় উশৃংখলতা বাড়িয়ে এলাকাবাসী কে অতিষ্ঠ করে ফেলে। তাজুল ইসলাম ও জহির দুই ভাইয়ের পালিত কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে এলাকার কেউই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না।
এ বিষয়ে তাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন আলমকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।