Friday , 28 March 2025 | [bangla_date]
  1. Alor Dhara24 News
  2. অন্যান্য
  3. আড়াইহাজার
  4. এন আই সি ইউ
  5. ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল
  6. কো-অর্ডিনেটর
  7. খেলা
  8. খেলাধুলা
  9. ধর্ম
  10. নারায়ণগঞ্জ
  11. নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহত্তর শিমরাইল উপ কমিটির অফিস উদ্বোধন
  12. নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
  13. নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ
  14. পলাশ সাহা
  15. ফতুল্লা

রমজানের শেষ তিন দিন ইতেকাফ করা যাবে?

প্রতিবেদক
AlorDhara24
March 28, 2025 5:01 am

কোনো মসজিদে এক বা একাধিক দিন দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে অবসর নিয়ে সওয়াবের নিয়তে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে। ইতেকাফ ইসলামে ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। পূর্ববর্তী ধর্মগুলোতেও ইতেকাফের বিধান ছিল। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিলাম, তোমরা আমার ঘরকে তওয়াফকারী, ইতেকাফকারী ও রুকু–সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। (সুরা বাকারা: ১২৫)

ইতেকাফের ফজিলত নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইতেকাফকারী সম্পর্কে বলেন, ইতেকাফকারী নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখেন এবং নেককারদের সকল নেকী তার জন্য লেখা হয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ১৭৮১)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে নবিজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মাত্র একদিন ইতিকাফ করে, আল্লাহ তাআলা তার ও জাহান্নামের মাঝে এমন তিনটি বিশাল পরিখা সৃষ্টি করে দেন যেগুলোর প্রতিটি পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার দূরত্বের চেয়েও অনেক বেশি প্রশস্ত। (মুসতাদরাকে হাকেম: ৪/২৬৯)

ইসলামে ইতেকাফ তিন প্রকার:

১. ওয়াজিব ইতেকাফ; কেউ যদি ইতেকাফের মানত করে, তাহলে তার জন্য ওই মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব।

২. সুন্নত ইতেকাফ; রমজানের শেষ ১০ দিনের ইতেকাফ।

৩. নফল ইতেকাফ; উল্লিখিত দুই প্রকার ছাড়া বাকি সব ইতেকাফ নফল ইতেকাফ গণ্য হয়।

ওয়াজিব ইতেকাফের সর্বনিম্ন সময়

কেউ যদি ইতেকাফের মানত করে, তাহলে ওই মানত পূরণ করা ওয়াজিব এবং মানত অনুযায়ী তার পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ যে কয়দিন ইতেকাফের মানত করা হয়েছে, ওই দিনগুলো পূর্ণ করতে হবে। যেমন কেউ যদি মানত করে আমি তিন দিন ইতেকাফ করবো, তাহলে তিন দিন কোনো একটি মসজিদে তার ইতেকাফ করতে হবে এবং ওই দিনগুলোতে রোজাও রাখতে হবে।

সুন্নত ইতেকাফের সর্বনিম্ন সময়

রমজানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করা সুন্নতে মুআক্কাদা কেফায়া। কোনো মহল্লা বা এলাকা থেকে একজন ইতেকাফ করলে পুরো মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে এটি আদায় হয়ে যাবে। কেউ ইতেকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে।

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) (প্রতি) রমজানে শেষ দশ দিন ইতেকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

আয়েশা (রা.) বলেন, নবিজি (সা.) মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করেছেন। এরপর তার স্ত্রীগণও (তার সুন্নত অনুসরণ করে রমজানের শেষ দশ দিন) ইতেকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

কেউ যদি সুন্নত ইতেকাফ পালন করতে চান, তাহলে তার রমজানের শেষ দশ দিন অর্থাৎ বিশ রমজানের সূর্যাস্তের সময় থেকে শেষ রোজার সূর্যাস্ত পর্যন্ত বা ইদের চাঁদ দেখা যাওয়া পর্যন্ত ইতেকাফ করতে হবে। এটাই সুন্নত ইতেকাফের সর্বনিম্ন সময়। দশ দিনের কম ইতেকাফ করলে তা সুন্নত ইতেকাফ হবে না, নফল ইতেকাফ হবে।

নফল ইতেকাফের সর্বনিম্ন সময়

নফল ইতেকাফের সর্বনিম্ন কোনো সময় বেধে দেওয়া নেই। কেউ চাইলে এক মুহূর্ত বা কিছু সময়ের জন্যও ইতেকাফ করতে পারে। আবার এক দিন, ‍দুই দিন বা তিন দিনের জন্যও ইতেকাফ করতে পারে। নফল ইতেকাফের জন্য রোজা রাখাও জরুরি নয়। যে কোনো সময় মসজিদে প্রবেশ করার সময় নফল ইতেকাফের নিয়ত করা সুন্নত।

সুতরাং কেউ চাইলে রমজানের শেষ তিন দিন, দুই দিন বা এক দিনও নফল ইতেকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করতে পারেন। আর যারা সুন্নত ইতেকাফ করতে চান, তাদের দশ দিন ইতেকাফ করতে হবে।

সর্বশেষ - সিদ্ধিরগঞ্জ