এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে নতুন কমিওটার ট্রেনের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় চাষাড়া রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে।
এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাাক জাহিদুল ইসলাম মিঞা। আজ বুধবার সকাল ১১টায় ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বেলা ১১টায় ছেড়ে ১১টা ৫০ মিনিটে চাষাড়া রেল স্টেশনে পৌঁছায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চালু হওয়া এই ট্রেন সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে যাত্রীদের যাতায়াতকে আরও সহজ করবে। মেট্রোরেলের আদলে তৈরি এসব ট্রেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এবং দ্রুত, নিরাপদ ও আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।নারায়ণগঞ্জ জেলা
প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ। জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ এর অন্যতম সদস্য মাওলানা মোঃ মাইনুদ্দিন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মহানগর রাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম আনোয়ার প্রদান সহ আরো বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে মাওলানা মঈনুদ্দিন বলেন মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় নতুন মেট্রোরেলের আদলে ট্রেন উদ্বোধনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই। এতে নারায়ণগঞ্জবাসীর যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। আমরা তার পাশে আছি এবং থাকব আমরা ভাগ্যবান তার মত একজন দক্ষ মানবতা বোধ সম্পন্ন জেলা প্রশাসক পেয়েছি। তিনি আমাদের নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অহংকার। এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন নারায়ণগঞ্জ কে একসময় প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হত। এই হারানো প্রাচ্যের ডান্ডি ফিরিয়ে আনার জন্য যেই অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা করে এসছেন বর্তমান জেলা প্রশাসক তার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই আমরা নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের কার্যক্রমে সব সময় তার পাশে আছি। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এই ট্রেন উদ্বোধন হওয়ায় নারায়ণগঞ্জবাসী যানজট নিরসন থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে আশা করি। এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন নারায়ণগঞ্জকে যানজট নিরসন করতে বিশেষ ভূমিকা ও কার্যক্রম পরিচালনা করে ও বিভিন্ন সংগঠনকে আহ্বান করে সবাইকে কাজে লাগিয়ে যানজট নিরেশন করে চলাচলের সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জবাসীকে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জকে একেবারে আপন করে নিয়েছেন। এবং নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে একের পর এক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন এইজন্য ভাই তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা তার পাশে আছি এবং থাকব। জেলা পুলিশ সুপার প্রস্তূষ কুমার মজুমদার বলেন নারায়ণগঞ্জ যদি বাংলাদেশের না হয়ে কোন ইউরোপের কোন দেশে হতো তাহলে হয়তো পাতাল ট্রেন অথবা মেট্রোরেলের সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারতো। তাই আমি আশা করব নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য খুব দ্রুত মেট্রোরেলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। এতে নারায়ণগঞ্জ বাসী যানজট নিরসন থেকে অনেকটা মুক্তি পাবে। সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামিয়া বলেন বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে উৎসর্গ করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। একটি লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। আমরা সেই বীর শহীদদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। যেই আশা-আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল এই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করে যাবো তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য। আমি যোগদানের পরই সাংবাদিকদের সাথে ব্যবসায়ীদের সাথেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংগঠনের সাথে আলাপ করে নারায়ণগঞ্জ এর বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনতে পাই। এই সমস্যার অন্যতম ছিল যানজট নিরসন করা সহ রেল ব্যবস্থার উন্নতিকরণ করা।তার প্রেক্ষিতে আমি রেল যোগাযোগের ব্যাপারে যতগুলি পর্যায় আছে আমি সাথে আলাপ করেছি। এমনকি আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলাপ করেছি। গতকাল ও আমি সচিব স্যারের সাথে আলাপ করেছি। স্যার আমাকে কথা দিয়েছিলেন ২৬ শে মার্চ আমাদের ট্রেন উদ্বোধনের ব্যবস্থা করে দিবেন এবং তা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের এই ট্রেন ব্যবস্থাকে আরো উন্নতি করণ করতে হবে। চাষাড়া রেল স্টেশনটি আরো বড় করার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও চাষাড়া রেলস্টেশনের আশেপাশে পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে ছিল ময়লা আবর্জনায় ভরা ছিল। আমরা আমাদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এগুলি পরিষ্কার করিয়েছি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছি।কমিউনেটার ট্রেন পেলাম তাই আপনারা হয়তো ভাবছেন এ ট্রেনটি আরো চাকচিক্যময় হলে ভালো হতো। এই ট্রেনটি আসলে আমাদের এই বাংলাদেশ তৈরি।আমরা আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। নিজেদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চাই। এবং আমরা রেল ডিপার্টমেন্টকে নারায়ণগঞ্জের দিকে একটু বেশি নজর দেওয়ার আহবান জানাই। নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের বিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। কিছুদিন আগে আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যার আসছিলেন তার কাছে আমি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ধিক তুলে ধরি এবং আরো জোরালো দাবি করি নারায়ণগঞ্জকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার জন্য। স্যার আমাকে কথা দিয়েছেন জাফ্রান চেষ্টা করবে। আমরা নারায়ণগঞ্জকে মডেলে পরিণত করতে চাই বাংলাদেশের ভিতর।
আমরা নারায়ণগঞ্জকে গ্রীন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির আওতায় এনেছি। এবং তারা দ্রুত বাস্তবায়ন করে চলছি আপনাদের সবার সহযোগিতায়।