ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে আক্রমণ চালিয়েছে। কৌশলী সামরিক অভিযানটি সফল হয়েছে বলে দাবি হুতিদের।
হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার খবরটি নিশ্চিত করেন। তার বিবৃতি থেকে জানা যায়, বিমানবন্দরে অভিযানে প্যালেস্টাইন-টু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অভিযানে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী অংশ নেয়। তারা ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহার করে।
এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিবৃতি বরাবরের মতোই। দেশটি জানায়, তারা নাকি সৌদি আরবের আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করেছে।
সেই সময় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নেসেটে ছিলেন। তাকে দ্রুত বম্ব শেল্টারে নেওয়া হয়। অসংখ্য ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটার সময় ১৩ জনের পদদলিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টানা পঞ্চম দিনের মতো হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন আগ্রাসন মোকাবিলা করে চলেছে। মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করে চলেছে। এসব হামলার জবাবে হুতি যোদ্ধারা মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়েছে।
হুতিরা জানায়, গাজায় ফিলিস্তিনি গণহত্যার জবাবে ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে চালানো হামলা যুক্তরাষ্ট্র ঠেকাতে পারবে না। তারা আরও বলেছে, মার্কিন বিমান হামলার তীব্রতা নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি হুতিদের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত করতে পারবে না। গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর থেকে ইসরায়েলি অবরোধ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সমর্থন অব্যাহত থাকবে।