রাজনীতিবিদ-সাংবাদিকদের মধ্যে স্বচ্ছতা-বোঝাপড়া থাকলে সমাজ এগিয়ে যায়: জামায়াত আমির


AlorDhara24 প্রকাশের সময় : মার্চ ১৪, ২০২৫, ৩:৪৫ অপরাহ্ন /
রাজনীতিবিদ-সাংবাদিকদের মধ্যে স্বচ্ছতা-বোঝাপড়া থাকলে সমাজ এগিয়ে যায়: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বললেন, একটি সমাজে রাজনৈতিক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও বোঝাপড়া থাকলে একটি সমাজ এগিয়ে যায়। এ দুই জায়গার এক জায়গায় স্বচ্ছতার ঘাটতি হলে, সমাজ  খুঁড়িয়ে, খুঁড়িয়ে সামনের দিকে যায়।

শুক্রবার (মার্চ ১৪) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ইফতার পার্টিতে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, সমাজের দুই ধরনের স্টেক হোল্ডাররা ফোর ডাইমেনশনাল ভিশনে সমাজকে দেখে।

একটি অংশ অবশ্যই সাংবাদিকরা দেখেন ও আরেকটি অংশ রাজনীতিকবিদরা দেখেন। এ দুটি জায়গায় স্বচ্ছতা ও ভালো বোঝাপড়া থাকলে একটি সমাজ সামনের দিকে ভালোভাবে এগিয়ে যায়।

এ দুই জায়গার এক জায়গায় স্বচ্ছতার ঘাটতি হলে, সমাজ খুঁড়িয়ে, খুঁড়িয়ে সামনের দিকে যায়। দৌড়ে গন্তব্যের দিকে যেতে পারে না।

বাংলাদেশের অবস্থা বাস্তবে এটাই হয়েছে। এ অবস্থায় রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আত্মসমালোচনা প্রয়োজন, পাশাপাশি গণমাধ্যমে যারা আছেন তাদেরও বুক টান করে দাঁড়াতে হবে। আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নই। আমাদেরও ভুল হয়। আমি চাই, মিডিয়া আমাদের মন্দ দিকের পাশাপাশি ভালো দিকটাও তুলে ধরবে।

 

তিনি বলেন, রাজনীতির স্লোগানটির মতো আমার চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। বাস্তবে দেশের রাজনীতিকবিদরা তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে পারেনি।

জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান বলেন, মাগুরার ওই শিশুটির মৃত্যুতে দেশবাসী কষ্ট পেয়েছে। এ ধরনের ধর্ষণকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের এক ও অভিন্ন হতে হবে। এ বিষয়ে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমার জীবনে আমি কখনো জাকাত ও ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দেইনি। এখনো ফাঁকি দেই না। তারপরও আয়কর মামলায় ১১ বছর সাজা হয়েছিল আমার। এছাড়া আমার স্ত্রীর ১৬ বছর ও আমার ভাইয়ের আট বছর সাজ হয়েছিল। আমি এখনো চ্যালেঞ্জ করতে পারি। হাইকোর্ট অবশ্য আমাকে খালাস দিয়েছেন।

মির্জা আব্বাস বলেন,  কোন কোন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কোন কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক আছে তা সাংবাদিকরা লেখেন না। সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি। সাংবাদিকদের কলমের জোর অনেক। আপনাদের বলা লেখায় জাতির অনেক লাভ হবে। আবার ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।

আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও ডিআরইউ সহসভাপতি ও ইফতার কমিটির আহ্বায়ক গাযী আনোয়ার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন।

অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন লিটন, কবির আহমেদ খান ডিআরইউ কল্যাণ সম্পাদক ও ইফতার কমিটির সদস্য সচিব রফিক মৃধা।

এছাড়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিআরইউ যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দফতর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জমান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. ফারুক আলম, সুমন চৌধুরী ও মো. সলিম উল্ল্যা (এস. ইউ সেলিম) উপস্থিত ছিলেন।