আওয়ামী লীগের শাসন আমলে সাবেক জ্বালানী মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে অবস্থিত পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ডিপোর সামান্য পিয়ন হিসেবে যোগ দিয়ে পরবর্তিতে মিটারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যায় কেরানীগঞ্জের শুভ। চাকুরির সুবাধে কয়েক বছরেই ডিপোতে একক আধিপত্য বিস্তার করে রাতারাতি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার খবর চাউর হওয়ায় তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
এদিকে ডিপোতে তার ধাম্ভিকতার আচরণ ও বৈষম্যে ডিপোর অভন্ত্যরে সৃষ্টি হচ্ছে অসন্তোষ। যে কোন সময় এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে শান্তি শৃংখলা ভঙ্গের আশংকা করছেন ডিপোতে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগেরঞ্জ গোদনাইল পদ্মা অয়েল কোম্পানীর একজন সামান্য পিয়ন হিসেবে নিয়োগ পায় কেরানীগঞ্জের শুভ। পরে দির্ঘ এক বছর এই পিয়ন পদেই চারকরি করেন শুভ। পিয়ন পদে থেকে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারায় তার পারিবারিরক সূত্রে তৎকালীন সাবেক বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর তবদিরে পিয়ন থেকে হয় যায় পদ্মা ডিপোর মিটারম্যান। এর থেকেই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সাবেক জ্বালানী মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর পরিচয়ে পুরো ডিপোতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। ডিপোর অধিকাংশ শ্রমিক-কর্মচারী তার নিকট জিম্মি যেনো। চাকুরি হারানোসহ নানা নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
এরপর থেকেই ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয় কেরানীগঞ্জের শুভর। ধিরে,ধিরে শুরু করনে অবৈধ ভাবে তেল চুরির কাজ। তার এই কাজে শুরু থেকেই সহযোগী হিসেবে ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার স্থানীয় কিছু আওয়ামি লীগ নেতার। ডিপো থেকে তেল চুরি করে তাদের মাধ্যমে বাহিরে এই তেল বিক্রি করতো শুভ।
খোঁজনিয়ে জানাযায়,শুভ মিটারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরে ডিপোতে তেলের গাড়ি লোড করার সময় প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ লিটার তেলচুরি করা শুরু করেন আর তার এই কাজে তাকে সরাসরি সহযোগিতা করেন ডিপোর কিছু অসাধু কর্মচারি। এর ফলে সেই চুরি করা তেল বিক্রির টাকার ভাগও দিতেন শুভ তাদের।
সূত্রনুসারে,চাকরির শুরুতে খুবই অসচ্ছল ছিলো শুভ ও তার পরিবার। কিন্তু পদ্মা ডিপোতে চাকরি পাবার পরের বছর থেকেই হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে শুভ। চার লক্ষ টাকার বাইক দিয়ে নিজের কর্মস্থলে আসেন শুভ! এখন প্রশ্ন হচ্ছে মাত্র ৭ হাজার টাকার বেতনের একজন কর্মচারি কিভাবে চার লক্ষ টাকার বাইকে করে চড়ে বেড়ান? এবং শুধু তাই নয় কেরানীগঞ্জে তার পরিবারের নামে কিনেছেন একাধিক সম্পতি।
৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর নিজের আধিপত্যকে ধরে রাখতে নয়া কৌশলে ডিপো অভন্ত্যরে রাম-রাজত্ব বিরাজ করছেন। ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রানা সম্পর্কে শুভর মামা হওয়াতে সেই সুবাদে সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপির নেতাদের সাথে আঁতাত করে পদ্মা ডিপোতে এখনও বহাল রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, শুভ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের একজন দোসর হিসাবে বর্তমানে ডিপোর সকল সংবাদ গোপনে সরবরাহ করে আসছে। অনৈতিক পন্থায় পুরো ডিপোর দায়িত্ব বাগিয়ে নিয়েছেন। যা ১৫ বছর চাকুরি করেও কেউ পাননি। আর এ সুযোগে বনে গেছেন অঢেল ধন সম্পত্তির মালিক।
এ বিষয়ে জানতে শুভকে মুঠোফোন করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে অস্বীকার করেন।
এদিকে বর্তমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেতে শ্রমিক-কর্মচারীরা পদ্মা ডিপো কোম্পানীর এমডি ও দূর্নীতি দমন