বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এবং দেশের ভিতরের নৈরাজ্যপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝে একদিকে, শামীম ওসমান তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব তার দীর্ঘদিনের পার্টনারদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মেহেদী ,সাইজুদ্দিন মাতবর এর ছেলে মাসুম, সাব্বির, সাইজুদ্দিন মাতবর, এবং এই চারজনই এখন শামীম ওসমানের প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে রয়েছেন। জল ও স্থল উভয় ক্ষেত্রে তারা ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শামীম ওসমান ব্যবসায়িক এই দায়িত্বের ভার যে ব্যক্তিদের হাতে দিয়েছেন, তারা সকলেই বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটির সফল পরিচালনা নিশ্চিত করবেন। তবে, বর্তমান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এবং নৈরাজ্যের ঘটনা দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশে এক নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, তারা কেবল একটি ব্যবসা পরিচালনা করছেন না, বরং আন্দোলন এবং দেশীয় সমস্যা নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন। তাদের লক্ষ্য, শুধু প্রতিষ্ঠান চালানো নয়, বরং আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তারা আওয়ামী লীগের দোষর হয়ে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও গুলি করে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের করা মামলায় শামীম ওসমানের পার্টনার সাব্বির সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ব্যতীত অন্যান্য থানায় একাধিক মামলা হওয়ার পরেও স্বৈরাচারী হাসিনা ও আওয়ামী দোষর এবং শামীম ওসামানের ব্যাবসায়িক এসব পার্টনাররা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এক বিএনপির নেতা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর এদেশের প্রতিটি মানুষ কতটা নির্যাতিত কতটা নিপিড়িত হয়েছে তা সকলেই জানি এমন কি আওয়ামী লীগ নিজেদের একছত্র অধিপত্য বিস্তার করতে বৈষ্যম বিরোধী আনন্দোলনে কত লাখ লাখ শিক্ষার্থীর বুকে গুলি চালিয়েছে তা হিসাব ছাড়া
৫ ই আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় না হলে এরা আরো বেশি সৈরাচারে পরিনত হতো
তবে ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের পতন হলেও তার প্রেত্মারা এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন।
- অন্তরবর্তী সরকারের প্রসাশনকে বলবো আপনারা যদি এসময় পদক্ষেপ না নেন তাহলে এরা আগের মতো স্বংক্রিয় হয়ে উঠবে তাই নারায়ণগঞ্জ এর সচেতন নাগরিক সমাজ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমরার বরাবর এসকল আওয়ামী দোষরদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।