আমরা তথ্য নিয়ে জানতে পারি গোদনাইল সৈয়দ পাড়া ৮ নং ওয়ার্ড কিশোর গ্যং এর আস্তনা । এর নেতৃত্বে আছেন সাবেক যুবদল নেতা সাইফুল, তিনি এখন নিজেকে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর অনুসারী হিসেবে দাবী করেন । আমরা জানতে পারি সাইফুলের ভাতিজা রকি ও হান্নান একটি বাহিনী গড়ে তোলে । এই বাহিনী এমন কোন কাজ নেই যে, তারা করে না । চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই মেয়েদের ইভটিজিংসহ সর্বকাজের সাথেই এই বাহিনী জড়িত এলাকাবাসী বলেন । আর এসবের সাহস যোগান সাবেক যুবদলের নেতা হিসেবে দাবী সাইফুল । তার সাহসের কারণেই ফারুক খুন হন বলে আমরা জানতে পারি । কারন ফারুকের সাথে না-কি পূর্ব শত্রুতা ছিল রকি ও হান্নানের । ৫ ই আগষ্ট এর পর আওয়ামী সরকারের পতনের হলে, সেই সুযোগে সাইফুল ও তার ভাতিজাদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে । আর এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বের আড়ালে থেকে সন্ত্রাসী সাইফুল সৈয়দপাড়া এলাকায় সব অপকর্ম ঘটায়। এই কিশোর গ্যং বাহিনী কাউকে মানত না বলে সাধারণ জনগন বলেন। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ফারুককে খুন করেন রকি ও হান্নানরা । যেদিন ফারুক হত্যা হন সেদিনও ফোন দিয়ে রকি বলেন চাচা এক শালায় আমাদের কাজে কর্মের বাধা, তখন ফোনে সাইফুলের মন্তব্য ছিল যেই-ই হোক আগে শালারে পিটা মার, পরে দেখবো কি হয়। এই সাহসেই তার ভাতিজা এই নিরহ ছেলেকে হত্যা করে। হাসপাতালে নেওয়া হলে ফারুক ১৫/২০ দিন মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন । এই ব্যাপারে ফারুকের বাবা ফজলুর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই পিটিশন হত্যা মামলার নং ৪৪/২৫ । গত ৬/২/২৫ ইং তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নং ৭ । মামলার ধারা ১১৪/১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০ ও ৫০৬ বাংলাদেশ পেনালকোড ১৮৬০ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয় । ফারুক এর পিতা মামলা করেও কোন বিচার পাননি। কারন তিনি গরিব একজন রিকশা চালক বলে আমরা জানতে পারি । পিতা ফজলুর বলেন আসামিরা প্রকাশ্যেই এলাকায় ঘুরাফেরা করেন কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না । এখন নিহত ফারুকের বাবা ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে নিরবে নিভৃতে কাঁদেন কিন্তু এলাকাবাসী কেউ হত্যাকারীকে ধরিয়ে দেয় না ।