দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগসহ বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে যেসব সরঞ্জাম বিতরণ করে সেগুলো এখন থেকে আর কেন্দ্রীয়ভাবে কেনা হবে না। বরং, স্থানীয় পর্যায়ে ইউএনওদের মাধ্যমে সেসব সরঞ্জাম কেনাকাটা করে স্থানীয় পর্যায়েই বিতরণ করা হবে।
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকরা সেটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত তৃতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
যেগুলো তাৎক্ষণিক তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার, সেটি তাদের দেওয়া হয়েছে৷ আর যেসব বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেগুলো আমরা নোট করে নিয়েছি এবং সেগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে। তাদের চাহিদা মতো স্থানীয় পর্যায়ে যে পুর্নবাসন কার্যক্রম, কাবিখা ইত্যাদি বিষয়ে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের বলা হয়েছে।
এ বরাদ্দের নিরিখে যে প্রকল্পগুলো গ্রামীণ অবকাঠামোতে গ্রহণ করা হবে, সেগুলো যাতে যথাযথভাবে হয় সেটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বরাদ্দপত্রের ক্ষেত্রে আগের যে কেন্দ্রীয় প্রথা ছিল, সেটি আমরা পরিবর্তন করেছি। এগুলো সম্পর্কে তাদের ধারণা দিয়েছি। যেমন কম্বল আগে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ করে বিতরণ করা হতো, এখন সেটি মাঠ পর্যায়ে সংগ্রহ করে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। একইভাবে গৃহ নির্মাণের সরঞ্জামগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সংগ্রহ করে চাহিদার নিরিখে বিতরণ করা হবে। কোনোটাই আর কেন্দ্রীয়ভাবে রাখা হয়নি। এ বিষয় সম্পর্কে তাদের (ডিসি) ধারণা দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা যথাযথভাবে বিভিন্ন সামগ্রী কিনে বিলি-বণ্টন করেন। গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো রকমের বৈষম্য যেন সৃষ্টি না হয়৷ এগুলো সম্পর্কে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় পর্যায়ে এ বিষয়গুলো খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং আমাদের জানাবেন।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাইক্লোন সেন্টারসহ যে স্থাপনাগুলো গ্রামীণ পর্যায়ে আছে, সেগুলোর যাতে যথাযথ ব্যবহার হয় সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে যখন নির্বাচিত নেতারা থাকতেন, এটার দায় তারাই গ্রহণ করতেন। এখন জেলা প্রশাসকদের ধারণা দিয়েছি এবারের সব দায় দায়িত্ব তাদেরই বহন করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা মনে করছি, তাদের (ডিসি) ভেতরেও একটি মানসিক পরিবর্তন এসেছে। সে নিরিখেই আমরা মনে করি, এ কাজগুলো এবার অনেক বেশি স্বচ্ছতার সঙ্গে তারা নেবেন। কারণ তাদের আড়াল করার মতো আর কোনো বিষয় থাকবে না।
ফারুক-ই-আজম বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা তাদের পর্যবেক্ষণ আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। সেগুলো আমরা শুনেছি।