নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় প্রতিনিয়তই মামলার বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধোরসহ হুমকি ধামকির ঘটনা ঘটে চলছে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পক্ষ বিপক্ষকে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটাতে বারন করলেও কেহই গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশ নষ্ট হবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে বলে যানা যায়। আদালত প্রাঙ্গণে ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকার মোঃ শাহাবদ্দিন আহম্মেদ এর পুত্র সাফরিন আহম্মেদ (৩২)কে ও তার পরিবারকে হাজীগঞ্জ এলাকার সাকিব সরদার (১৯) গংরা আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যদিবালোকে হেনেস্তা ও মারধোর করছেন বলে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী সারফিন আহম্মেদ অভিযোগে বলেন বিবাদী ১। সাকিব সরদার (১৯), পিতা- রশিদ সরদার, সাং- হাজীগঞ্জ, ২। স্বাধীন সরদার (২২), পিতা- রশিদ সরদার, ৩। রশিদ সরদার (৬০), পিতা- মুনসুর আলী সরদার, উভয় সাং- বাউফর, বরিশাল, এ/পি- হাজীগঞ্জ গোপ্তা, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪। আনোয়ার সানি কানা আনোয়ার (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং- গোদনাইল থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ আরো অজ্ঞাতানামা ৭/৮ জন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের উপর আক্রমন করেন।
আমার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার রিয়া (২৩) এর সাথে সাংসারিক কোলহলের জের ধরে আমাদের উভয় পরিবারে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার ও আমার স্ত্রীর ডিভোর্স এর জন্য জেলা জজ দায়রা আদালত লিগ্যাল এইড এ আমার শশুড় রশিদ সরদার ও আমার স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অদ্য রোজ- ১১/০২/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ২:৩০ ঘটিকার সময় আমি ও আমার মাতা এবং পিতা উক্ত আদালতে উপস্থিত হইয়া আদালতের নির্দেশ মান্য করি। এমতাবস্থায় আমার ও আমার স্ত্রীর ঔরসজাত সন্তান তাফসির আহমেদ (২.৫) আমার কোলে আসার চেষ্টা করিলে আমার শশুর আমার সন্তানের পথ রোধ করে আমার সন্তানকে মারধর করে এমতাবস্থায় আমার মাতা- রিনা আহমেদ (৫২), বিষয়টি প্রতিবাদ করিলে আমার মাতাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে আমার মাতা তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করিলে শশুর রশিদ আমার মাতার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমার মাতাকে স্ব-জোরে ডান হাত দিয়ে বুকের বাম দিকে ঘুষি মারে এবং লাথি মারে একপর্যায়ে আমার মাতা তাহাদের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যায় এবং আমি ও আমার পিতা সাথে সাথে আমার মাতাকে খাঁনপুর ৩০০ সহ্যা হাসপাতালে নিয়া যাই। পরবর্তীতে অনুমান বিকাল ৩:৪০ ঘটিকার সময় শশুরের নির্দেশে সাকিব ও স্বাধীন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে সাথে নিয়ে খাঁনপুর হাসপাতালে আমাকে এলোপাথাড়ী, কিল, ঘুষি, লাথি, চড়, থাপ্পর, কিল, ঘুষি ও শরিরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা রক্ত যখম করে এবং আমার সাথে থাকা কাবিনের নগদ ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ) হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। আমার ডাক-চিৎকারে আশে পাশের লোক আগাইয়া আসতে দেখে বিবাদীদ্বয় আমাকে বলে “তুই যদি এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করিস তাহলে তোকে যে কোন সময় প্রানে মারিয়া ফেলিব অথবা তাহা না পারি তাহলে তোকে ও তোর পরিবারের লোকদেরকে যে কোন মিথ্যা মামলায় ফাসাইয়া দিবে” মর্মে হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদ্বয়ের এহেন কার্যকলাপে আমি অর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হইয়াছি এবং আমি ও আমার পরিবারের লোকজন দরুন নিরাপত্তাহীনাতায় ভূগতেছি। তাই আইনী সহযোগিতা পেতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
আদালতে এ ঘটনা ঘটার কারনে অনেকের মনে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। সকলের দাবী এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে মানুষের মাঝে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয় কমে যাবে। তাই সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে দাবী জানান।