নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানটুলি এলাকায় রেলের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেছেন নীটকনসার্ন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা। নীটকনসার্ন গ্রুপের সংলগ্ন এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আব্দুর রব ভূঁইয়ার ছেলে সাব্বির ভূঁইয়া প্রায় ১৫-১৬টি দোকান নির্মাণ করে প্রতিদিন দোকানপ্রতি ২০০ টাকা করে চাঁদা তুলছিলেন।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকান থেকে ব্যবসার আড়ালে মাদকদ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছিল, যা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছিল। যদিও সাব্বির ভূঁইয়ার নিজের বাড়ির সামনের দোকানগুলো অক্ষত ছিল।
পাঠানটুলি মসজিদের সংলগ্ন নতুন রাস্তা দিয়ে নীটকনসার্ন লিমিটেডের বাস, ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যান চলাচল করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিল। কারণ, এই রাস্তার পাশে থাকা জমি নীটকনসার্নের অধীনে থাকা সত্ত্বেও দোকানগুলো সেখানে স্থাপন করা হয়েছিল।
নীটকনসার্ন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা বারবার সাব্বির ভূঁইয়াকে দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। এক পর্যায়ে, তিনি নিজেই বুলডোজার নিয়ে এসে এই দোকানগুলো ভেঙে দেন এবং জায়গাটি উচ্ছেদ করেন।
এই অভিযানের সময় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার সঙ্গে থাকা তিনজন গুরুতর আহত হন। তারা মাথায় আঘাত পান এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা বলেন, “আমার কোম্পানির জমি এতোদিন মানবিক দিক বিবেচনায় দিয়েছি। কিন্তু ওরা সেই মানবিকতার কোনো মূল্য দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সাব্বির ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে সে এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা।
এ বিষয়ে নীটকনসার্ন লিমিটেডের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।