সিদ্ধিরগঞ্জে দ্বিতীয় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর হাত-পা বেধে গোপনাঙ্গ কর্তনের ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। লোমহর্ষক ভয়ংকর এ ঘটনাটি হিরাঝিল এলাকায় ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী হালিমা (২৬) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেন।
একাধিক সূত্র জানায়, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী সোহাগ (৩০) এর যোগাযোগ অব্যাহত ছিল, যা মেনে নিতে পারছিলেন না হালিমা। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো।
এরমধ্যে সোহাগের শাশুরি সেতারা বেগম প্রায় সময়ই তার মেয়ে সোহাগের স্ত্রী হালিমাকে বিভিন্নভাবে প্ররোচণা দিতেন যে তোর স্বামী ভালো না এ স্বামীর ভাত খাইস না তোর কপালে সুখ হবে না। এসুযোগে মায়ের উস্কানিতে হালিমা তার স্বামী সোহাগকে বিভিন্ন হুমকি দিতো। এমনকি মায়ের সাহসে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয়াসহ বড় ধরণের ক্ষতির হুমকি দিতো।
মায়ের প্ররোচনায় হালিমা দিন দিন বেপরোয়া উঠে। এর জেরে পরিকল্পিতভাবে হালিমা আদর সোহাগ করে রাতের খাবারের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে স্বামী সোহাগ (৩০) কে খেতে দেয়। খাবার খেয়ে সোহাগ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সুযোগ বুঝে গভীর রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাহির থেকে আরো দু-জনকে সাথে নিয়ে প্রথমে হাত ও পা বেঁধে ফেলে ঘরের বাতি নিভিয়ে সোহাগকে এলোপাথাড়ি মারধর কনে। পরে তারপর গলায় বুকে চেপে ধরে তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে। এমতাবস্থায় চেতনা ফিরে পেয়ে ভুক্তভোগী স্বামী সোহাগ মাগো বাবাগো বলে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের বাসার লোকজন ছুটে আসলে বহিরাগতরা পালিয়ে গেলেও অভিযুক্ত হালিমা পালিয়ে যেতে পারেনি। পরে পুলিশ এসে মুমূর্ষ অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হসপিটালে পাঠায়।
ভুক্তভোগী স্বামী সোহাগ বলেন, আমার স্ত্রী ঝগড়াটে স্বভাবের তার উপরে তার মায়ের ইন্ধনে আমাকে চেতনা নাশক ওষুধ হয় এবং আমি ঘুমিয়ে পড়লে ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে আমাকে প্রথমে মেরে ফেলার চেষ্টা করে পরে আমার লিঙ্গ কর্তন করে।
প্রশাসনের কাছে আমার আরজি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আমি যেন এই হীন পৈশাচিক কর্মকান্ডের সঠিক বিচার পাই তার যথাযথ ব্যবস্থা নেন।