আগামী নির্বাচন একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সংবিধানসহ মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন সম্পূর্ণ ও চূড়ান্ত করতে হলে নির্বাচন লাগবে।
আগামী সংসদে কী কী মৌলিক পরিবর্তন হবে, সেগুলো আমাদের আলোচনা করতে হবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে ‘নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ শীর্ষক গণসংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ।
গণসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন।
কাজেই সেই নির্বাচনের জন্য সংস্কার হতে হবে। সংস্কার সভা তৈরির জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্য তৈরি করতে হবে।
আমরা দেশের জনগণকে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের অবিলম্বে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে, সরকারকে শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে। একই সাথে বলব, মানুষ দ্রব্যমূল্যে নাকাল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নানাভাবে অবনতি হচ্ছে। কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, সেই জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে।
গণসংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু, হাসান মারুফ রুমী, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক রায়, তরিকুল সুজন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান, উত্তরের সদস্য সচিব মাহবুব রতন, দক্ষিণের সদস্য সচিব সেলিমুজ্জামানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।