চোখ জুড়ানো পানের বরজ বরগুনার প্রতিটি উপজেলার গ্রামে গ্রামে। উৎপাদন খরচ কম ও বহুবর্ষজীবী হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
জেলার বদরখালী, গৌরীচন্না, ফুলঝুড়ি, বালিয়াতলী, আমতলী, পাথরঘাটায় পানের বরজের সমারোহ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বরগুনায় বিভিন্ন এলাকায় এবার পান চাষ হয়েছে ৩৮৫ হেক্টর জমিতে।
জেলায় ছোট বড় বরজের সংখ্যা চার হাজার ১১২টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫০টি বরজ।
কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পানচাষিদের নিয়মিত দেখভাল আর পরামর্শ দেওয়ায় চাষিরা সাফল্যের মুখ দেখছে।
সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নে কুমড়াখালী গ্রামের পানচাষি মো. রহিম ফরাজী বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েক বছর সংসারে চরম অভাব আর টানাপোড়েনের মধ্যে জীবনযাপন করেছি।
কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পানচাষিদের নিয়মিত দেখভাল আর পরামর্শ দেওয়ায় চাষিরা সাফল্যের মুখ দেখছে।
সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নে কুমড়াখালী গ্রামের পানচাষি মো. রহিম ফরাজী বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েক বছর সংসারে চরম অভাব আর টানাপোড়েনের মধ্যে জীবনযাপন করেছি।
পান চাষ করে সদর উপজেলার সহিদুল, আব্দুল খালেক, জব্বার ফরাজী, আলাম খান, কিশোর খয়রাতি, জগদীশ মাল, নরেন গাইন, কার্তিকসহ অনেকেই আলোর মুখ দেখেছেন। এখানকার পান স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশে-বিদেশে এ পান বিক্রি হচ্ছে। পানচাষিরা তাদের বরজ থেকেই পান বিক্রি করছেন পান ব্যবসায়ীদের কাছে। পদ্মা সেতুর সুফল এর কারণে এ অঞ্চলের চাষিরা আগের থেকে ভালো দাম পাচ্ছেন।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পানচাষি শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পান চাষে বাম্পার ফলন হবে এ বছর। তবে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮৪ হেক্টর জমির পানের বরজ এখনও মাথা তুলে দাঁড়ায়নি। এতে পান উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে ৮০০ টন, যার আর্থিক ক্ষতি প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা। এতে বরগুনার প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়নি। পানচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারের কোনো ধরনের প্রণোদনার আওতায় আনা হয় না বলেও জানান তিনি।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিনিয়ত বাড়ছে পানের বরজ। উপজেলার প্রায় ইউনিয়নে রয়েছে উঁচু ও উর্বর জমি যা পান চাষে অত্যন্ত উপযোগী। আমাদের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা পান চাষের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে পান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। যদি সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয় তাহলে কৃষকরা আরও পান চাষ করে অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।