প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ৯:৪৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২৪, ৯:৪৬ এ.এম
আমরা দুজন একই সংস্থায় খেলছি বলে অনেক সুবিধা হয় : সোনিয়া সাঁতারু
আলোরধারা ডেস্ক:
পুলে নামছেন আর সোনা জিতছেন। সোনিয়া আক্তারের প্রিয় কাজ যেন এটাই। মিরপুর জাতীয় সাঁতার কমপ্লেক্সে চলমান ম্যাক্স গ্রুপ ৩৩তম জাতীয় সাঁতারের প্রথম দুই দিনে ব্যক্তিগত চারটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে চারটিতেই সোনা জিতেছেন সোনিয়া।
শনিবার প্রথম দিনে জিতেছেন রিলেসহ তিনটি সোনা। রোববার দ্বিতীয় দিনে সোনা জেতেন ২০০ মিটার আইএম ও ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। ৫টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ৫টিতেই সোনা। এবার তিনি ইভেন্ট করবেন ১২টি। সোনিয়ার আশা, সব কটিতেই সোনা জিতবেন।
বাংলাদেশ নারী সাঁতারুদের মধ্যে এখন সবচেয়ে সিনিয়র সোনিয়া আক্তার, সাঁতার অঙ্গনে অনেকেই যাঁকে চেনেন টুম্পা নামে। বয়স ৩০ পেরিয়েছে কিছুদিন আগে। কিন্তু এখনো তিনি সাঁতারে নারী বিভাগে আলো কাড়ছেন। পেছনে ফেলছেন প্রতিদ্বন্দ্বীদের।
জাতীয় সাঁতারে সিনিয়র বিভাগে খেলা শুরু ২০০৭ সালে। তবে মিরপুর সাঁতার কমপ্লেক্সে আসছেন তারও আগে থেকে, ২০০৩ সালে। জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে প্রথম অংশ নেন সেবার। ২১ বছর হয়ে গেছে তাঁর সাঁতার জীবনের। দীর্ঘ এই সময়ে জাতীয় সাঁতারে সোনিয়ার সোনার সংখ্যা ১০০ পেরিয়েছে। কীভাবে তা সম্ভব হলো?
মিরপুর সাঁতার পুলে দাঁড়িয়ে ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতির মেয়ে বললেন, ‘সাঁতারকে অনেক ভালোবাসি। এ কারণে খেলাটা এখনো ছাড়তে পারিনি। ছোটবেলায় বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছিলাম, সেখান থেকে বের হই ২০১০ সালে। এরপর তিন বছর ছিলাম বাংলাদেশ আনসারে। ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহনীতে আছি। আর নৌবাহিনীতে সব সুযোগ–সুবিধা পাই। সেটাই আমাকে এগিয়ে এনেছে এত দূর।’
সোনিয়ার স্বামী আসিফ রেজাও সাঁতারু। তাঁরা বিয়ে করেন ২০২১ সালে। কুষ্টিয়ার মিরপুরের ছেলে আসিফ একসময় জাতীয় সাঁতারে বেশ কিছু সোনা জিতেছেন। এবারের জাতীয় সাঁতারের প্রথম দুই দিনে আসিফ ব্যক্তিগত ইভেন্টে অংশ নেন একটিতে, সেই ইভেন্টে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। তবে রিলেতে সোনা জিতেছেন নৌবাহিনীর হয়ে।
দুজনই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাঁতারু হওয়ার ব্যক্তিজীবনে দুজনের জন্যই সুবিধা হয়েছে। সোনিয়া তা নিয়ে বলছিলেন, ‘আমরা দুজন একই সংস্থায় খেলছি বলে অনেক সুবিধা হয়। অনুশীলনে একজন আরেকজনকে সহায়তা করতে পারি। আসিফ আমার ভুলগুলো ধরিয়ে শুধরে দিতে পারে। আমিও ওর ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। ফলে একজন আরেকজনের পাশে থাকতে পারি।’
Copyright © 2025 AlorDhara24. All rights reserved.