সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ফকির আলমগীরের (প্রয়াত গণসঙ্গীত শিল্পী) একটা চমৎকার গান আছে… ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে নয়’।
আমরা রক্তের দাম দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। আমরা করো দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই। আজকে সেই বোধ নিয়ে রুখে দাঁড়ান… আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিশ্চয়ই সেই বিষয়গুলো তারা দেখবে, দেখেছে অতীতে।
আর কোনো দেশ যদি আমাদেরকে মনে করে যে, আমাদের ওপরে প্রভুত্ব করবে… বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করে নাই… মোঘল আমলেও করেনি, বৃটিশ আমলেও করেনি, পাকিস্তান আমলেও করেনি, এখনো করবে না।’
যদিও ভারতের চাদর শরীর থেকে ফেলে দেওয়ার পর ইস্যু নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতে পারেন। কিন্তু সব মহলে, জনগণের মাঝে এটি আজ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সুতরাং ভারতীয় পণ্য বর্জনে আমরা যে সংহতি জানিয়েছি, তা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে।’
নিজের চাদর ছুড়ে ফেলেই ক্ষ্যান্ত হননি রিজভী। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র ১২ দলীয় জোটও ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারে সংহতি জানিয়েছে।
প্রথম দিন দলের পক্ষ থেকে সংহতি জানানোর কথা বললেও পরে এ কাজকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে দাবি করেন রিজভী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিএনপি এই ইস্যুতে কথা বলে এলেও পণ্য বর্জনের ডাকের মতো কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা বক্তব্য হাইকমান্ড থেকে কখনো দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে রিজভীর এমন কাণ্ড নিয়ে দলের ভেতরেও নানা আলোচনা চলছে। দলের কেউ কেউ এটাকে অতিউৎসাহী কর্মকাণ্ড বলেও মনে করছেন।