Wednesday , 12 June 2024 | [bangla_date]
  1. ! Без рубрики
  2. 1Win AZ Casino
  3. 1Win Brasil
  4. 1win Brazil
  5. 1WIN Casino Brasil
  6. 1win India
  7. 1WIN Official In Russia
  8. 1win Turkiye
  9. 1win uzbekistan
  10. 1winRussia
  11. 1xbet
  12. 1xbet apk
  13. 1xbet AZ Casino
  14. 1xbet Azerbajan
  15. 1xbet Casino AZ

কোরবানির ঈদে না.গঞ্জে মসলার ঝাঁজে বাজার বিমুখী ক্রেতারা

প্রতিবেদক
admin
June 12, 2024 8:13 pm

‘আইসিলাম মসল্লা লইতে, কিন্তু যে দাম এতে বাকি বাজার করতে পারমু না। তাই একটু মরিচগুড়া লইয়া যামু বাকি সদায় কিনতে।’ বাজারে এসে এমনভাবেই নিজের পরিস্থিতির কথা জানাচ্ছিলেন তানিয়া বেগম নামের একজন গৃহিণী। দুই মেয়ে এক ছেলে নিয়ে পাঁচ সদস্য সংসারে তার, স্বামী একজন দিনমজুর।

সামনে কোরবানির ঈদে যাতে পরিবার নিয়ে একটু ভালো মন্দ খেতে পারেন তাই এসেছিলেন বাজারে। কিন্তু সাধ্যের বাহিরে ছিলো পণ্যের দাম।

বুধবার (১২ জুন) নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজার ও কালির বাজারসহ বিভিন্ন মসলার দোকান ঘুরে এমন অনেক ক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারাও একই কথা জানান। বাজারে মাংস রান্নার সামগ্রী কিনতে এসে তানিয়া বেগমের মতোই বিপাকে পড়েছেন অনেক ক্রেতা।

এদিকে আর হাতে গোনা কয়েকটি দিন পরই ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হবে ঈদুল আযহা। ঈদকে সামনে রেখেই বেড়েছে জিরা, এলাচ, আদা-রসুন, লবঙ্গ, গোলমরিচের থেকে শুরু করে প্রায় সব মসলার দাম। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে মসলা কম আসায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক বিক্রেতারা। দশ দিনের ব্যবধানে প্রায় সকল ধরনের মসলায় প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

মসলা কিনতে আসা আরেকজন গৃহীনি আসমা বলেন, শুধু মসলা না এখন সবকিছুর দাম অনেক বেশি। এখন একজন চাকুরিজীবীর বেতনের বেশিরভার টাকা খাবারে যায়। সামনে কোরবানির ঈদ তাই এসেছিলাম মসলা কিনতে। কিন্তু যে দাম সেই হিসেবে দরকারি সব মসলা কিনতে পারবো না।

তাই একটু কম করে কিনছি যাতে কোন রকম ঈদটা পাড় করা যায়। মসলার মধ্যে সবথেকে বেশি দাম এলাচের। তাই এবার এলাচ কেনা একেবাড়েই ছেড়ে দিয়েছি।

চাকুরিজীবী মহিউদ্দিন বলেন, ঈদের জন্য মসলা কিনতে এসেছি। কিন্তু যে বাড়তি দাম চাইছে বিক্রেতারা, সে কারণে শুধু মরিচগুড়াটিই নিয়েছি অন্য কোন মসলা নেই নাই। এটা দিয়েই চলবে সামনের কয়দিন।

বাজার ঘুড়ে জানা যায়, আগে যেখানে মানভেদে (জেবিসি, আইএনজি, আরএস) এলাচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩ হাজার ৩৬০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়, সেখানে এখন এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা।

এমনই ভাবে মান ভেদে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৮৪০ টাকা কেজি, দারুচিনি ৫২০ টাকায়, লবঙ্গ কেজিতে ১ হাজার ৬৮০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়, গোলমরিচ (সাদা) কেজিতে ১ হাজার ২০০ টাকায় এবং কালো গোলমচির ১ হাজার টাকায়, দেশি তেজপাতা ১২০ টাকায়, জয় ফল ১ হাজার ৬০০ টাকায়, যত্রিক বা জয়ত্রী ৩ হাজার ২০০ টাকায় ও পোস্তগোলা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।

মসলার দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহাদ বলেন, মূলত ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকেই আমাদের দেশে সিংহভাগ মসলা আসে। মসলা কম আসলে আমাদেরই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। অন্যান্য সময়ের তুলোনায় কোরবানি ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকে।

ঈদের প্রায় ৩-৪ দিনে আগে থেকে মসলার চাহিদা আসে এপর ঈদের আগে দুদিন সব থেকে বেশি থাকে। তাছাড়া সবকিছুরই দাম বাড়ছে, যাতে করে আমাদের খরচও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। মসলার দাম বাড়ার আরেকটা কারন ডলারের দাম বাড়ছে বলে জানয়েছেন এই ব্যবসায়ি।

মসলা বিক্রেতা ওমর ফারুক জানায়, গত দশদিনের হিসেবে কিছু কিছু মসলার দাম বেড়েছে। ফেব্রুয়ারী মাস পাইকারিতে যে জিরা কিনেছি ৫৫০ টাকা কেজি, সেই জিরা এখন ৮০০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। আমরা মূলত মৌলভী বাজার ও নিতাইগঞ্জে পাইকারদের থেকে মসলা নিয়ে আসি।

তাদের থেকেই গত মাসের তুলনায় মসলায় বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ঈদে প্রতিবারই জিরা, এলাচ, গোলমরিচের চাহিদা বেশি থাকে। অনেকে হয়তো মনে করে, জিনিস পত্রের দাম বাড়লে আমাদের দোকানদারদের লাভ হচ্ছে কিন্তু আসলে এটা বিষয় না।

আমাদেরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় তারপর সেটা বিক্রি করতে হয়। আগে এই দোকানে ৫ লাখ টাকার মাল উঠালে সারা দোকান ভরে যেতো। কিন্তু এখন সেই টাকায় অর্ধেক মাল ও পাওয়া যায় না। ডাবল টাকা দিয়ে মাল উঠাতে হয়। ব্যবসা চালাতে আমাদের চালান ও বেশি দিতে হচ্ছে।

সর্বশেষ - রাজনীতি