সিদ্ধিরগঞ্জে প্রয়াত বন্ধুর পরিবারের জন্য ব্যাচ ৯৭, না’গঞ্জের অনন্য উদ্যোগ


সিদ্ধিরগঞ্জের প্রয়াত বন্ধুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জে ১৯৯৭ সালে এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের সংগঠন ব্যাচ ৯৭। গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের খ-কালীন শিক্ষক রাশিদুল মাহবুব সজলের পরিবারের ব্যয় মেটাতে প্রায় ৭ লাখ টাকায় একটি ঘর তুলে দিয়েছেন ব্যাচ ৯৭, নারায়ণগঞ্জের বন্ধুরা।

শুধু তাই নয়, সজল’র পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যাংকে একটি ২ লাখ টাকার এফডিআরও করে দিয়েছেন সংগঠনটি।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি রেঁস্তোরায় নিহত সজল’র ২ পুত্রের হাতে প্রতীকি একটি চাবি তুলে দিয়েছে ব্যাচ ৯৭, নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দরা। এসময় প্রয়াত সজল’র স্ত্রী এবং ছোট ভাইও উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত সময় ব্যাচ ৯৭, নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ডাঃ ফরহাদ আহমেদ জেনিথ বলেন- এটা কোন দান-অনুদান নয়। এটা বন্ধু সজল’র অধিকার ও আমাদের দায়িত্ব।

সজল নেই, ওর অভাব পূরণ হবে না। তবে আমরা সজল’র পরিবারের পাশে থাকবো আজীবন। প্রতি বছর ওর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা পরিবারের পাশে এসে দাঁড়াব।

অনাড়ম্বর ও-ই চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাচ ৯৭, নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী সজীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক হালিম উল্লাহ টিটু, বন্দরের মাঈনুদ্দীন সোহাগ।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের জিয়াউর রহমান মামুন, মিজানুর রহমান নয়ন, মামুন ফকির, আরিফ হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মনির হোসেন, শহীদুল ইসলাম, শরীফ উদ্দিন শফু।

ব্যাচ ৯৭, নারায়ণগঞ্জের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিসেস সজল বলেন- আপনাদের কাছে আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আপনারা বন্ধুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। আমার দুই সন্তানের জন্য দোয়া করবেন যাতে ওদের মানুষ করে তুলতে পারি।

দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করা স্কুল শিক্ষক রাশিদুল মাহবুব সজল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর অকালে পরপারে পাড়ি জমান। স্কুল পড়–য়া দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন সজল’র স্ত্রী। সজল’র বড় ছেলে নবম শ্রেণী ও ছোট ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।

বন্ধুর পরিবারের এমন অসহাত্বের সময় পাশে এসে দাঁড়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের সজল’র সতীর্থরা। পরে এ প্রজেক্টে যুক্ত ব্যাচ ৯৭, নারায়ণগঞ্জ। সকলের অংশগ্রহণে ৯ লাখ টাকার একটি ফান্ড তৈরি হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *