বিসিক শিল্প নগরী, যার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে


১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হোসিয়ারি বিসিক শিল্প নগরী। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে সর্বোচ্চ ২ লাখ মানুষের। ৫৮.৫২ একর জমির এ শিল্পনগরীতে শিল্প প্লটের সংখ্যা ৭৪১। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৪০টি। প্রায় বেশির ভাগ শিল্প ইউনিটই কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

বিসিক শিল্প নগরীর বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিল্প কারখানা থেকে উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়মূল্য প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। আর ৯৩৪টি রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা থেকে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার পণ্যের রপ্তানি করা হয়। বিসিকের শিল্প নগরী থেকে ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকার শুল্ক, কর, ভ্যাট ইত্যাদি সরকারের কোষাগারে জমা হয় । এসব কিছুর মাঝেও উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের রয়েছে বেশ কিছু সমস্যা।
তাদের দাবি, নিজ উদ্যোগেই রপ্তানি করছেন তারা। এ ক্ষেত্রে বিসিকের ভূমিকা নেই বললেই চলে।

বিসিক শিল্প মালিক সমিতির নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য একটা ভালো উদ্যোগ বিসিক। সেখানে জটিলতা তৈরি করে রাখলে হবে না।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সাথে বিসিকের যোগাযোগের অভাব লক্ষণীয়। যার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।

নারায়ণগঞ্জ বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, নারায়ণগঞ্জের আবাসিক এলাকা আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন সব মনে হয় এক হয়ে গেছে। এখানে বেশিরভাগই নতুন রাস্তা হয়ে আসছে এবং আরও কিছু নতুন রাস্তা হবে। ভেতরের কিছু রাস্তা আছে যেগুলো একটা সমস্যা হচ্ছে। সেগুলোও আমরা করে ফেলবো।

পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে বিসিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণ সম্ভব- মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *