খাবার নিতে ধস্তাধস্তি, নারী-শিশুসহ আহত প্রায় অর্ধশতাধিক


নবীগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে খাবার নিতে বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন হয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জে ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার এমপি সেলিম ওসমানের কৃষিফার্মে উৎপাদিত গরু বিক্রি থেকে উপার্জিত টাকা অনুদান দিয়ে, নবীগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এতিম খানার চারতলা বিশিষ্ট ভবনের উদ্বোধন করা হয়।

সেই সাথে নাসিম ওসমান গোল্ড এওয়ার্ড ক্বিরাত প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণ করা হয়। এদিন নবীগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমপি সেলিম ওসমান। অনুষ্ঠান শেষে এমপি সেলিম ওসমান সেই স্থান ত্যাগ করার পর খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ও উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা জানায়, এমপি সেলিম ওসমান থাকা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো। তিনি চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটা খারাপ হয়ে যায়।

খাবার দেয়ার সময় যারা ভলান্টিয়ারের কাজ করেছে তারা সবাই নিয়মের বাহিরে গিয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। অনেক অসহায় ও গরীবের ভাগ্য খাবার জুটেনি। কিন্তু যারা ভলান্টিয়ার ছিলো ও তাদের পরিচিত ছিলো। তাদের একজন ৫ জনের খাবার নিয়েছে।

দেয়াল টপকে মাদ্রাসার ভেতর থেকে পূর্বে খাবার নেয়া মানুষ পুনরায় খাবার নিয়েছে। ভলান্টিয়ার ও তাদের লোক জনের সমন্বয়ে কার্টুন ভর্তি খাবার নিয়ে যেতে দেখা গেছে। গেইটের সামনে এক ৮৫-৯০ বয়সের বৃদ্ধা নারী পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর সারা গায়ে খাবার পরে যায়, বয়স বেশী হওয়ায় ওই বৃদ্ধা নারী চিৎকার করতে পারে না।

উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ওই বৃদ্ধাকে হেফাযত করতে গেলে, পুলিশকে উপেক্ষা করে ধাক্কা দিয়ে ভলান্টিয়ারের কাছে খাবার নিতে যায়। ঘটনাস্থলে একাধিক মাদ্রাসার কিশোরী, নারী ও বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।

তবে ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল হোসেন লাইভ নারায়ণগঞ্জেকে বলেন, নবীগঞ্জে এমপি সাহেবের একটি প্রোগ্রাম হয়েছিল। অনুষ্ঠানে শেষে এমপি সাহেব চলে যাওয়ার পর খাবার বিতরণে সময় দেখা যায়, খাবারের তুলনায় স্থানীয়দের ভিড় হয়েছিল বেশি।

কতক্ষণ পর মাইকিং করে জানানো হয়, উপস্থিত জনতার তুলনায় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই, তাই আপনারা অনুগ্রহ করে বাড়িতে চলে যান। এসময় সাধারণ মানুষদের কোন সমস্যা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *