বাংলাদেশের রাজনীতি বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে কোন কোন ধারায় পুলিশ বেশী গ্রেফতার করে, সেটি হলো ৫৪, ৫৫ ও ১৫১ ধারায়। কারন এসব ধারায় পুলিশ যেকোনো মানুষকে গ্রেফতার করতে পারেন। এসব ধারায় গ্রেফতার করতে পুলিশকে কোনো ওয়ারেন্টের কাগজ দেখাতে হয় না। এখন জেনে রাখুন ৫৪ ধারা কি? এই ধারার ভাষ্য হলো, সন্দেহের বশবর্তী হয়ে পরোয়ানা ছাড়া যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে। আর ৫৫ ধারা সম্বন্ধে জেনে নিন, এই ধারা অনুযায়ী ভবঘুরে, অভ্যাসগত অপরাধে জড়িত ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। আর ১৫১ ধারার ভাষ্য হলো আমলযোগ্য অপরাধ ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারলে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেন । এখন কথা হলো যদিও এসব আইন আমাদের সংবিধানে আছে, সেই ক্ষেত্রে অতি সাবধানতার সাথে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে জনগনের স্বাধীনতার কথা ও কল্যানের কথা চিন্তা করে প্রসাশন বা পুলিশকে এগোতে হবে । কিন্তু আমাদের দেশের প্রশাসন নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে, সরকারের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এগোয়। তখন মানুষ রাস্তা-ঘাটে যেকোনো সময় হ্যারেজ হতে পারেন , তাই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসাবে সব সময়ই একটি দেশের সরকারকে প্রথমেই ভাবতে হবে তার দেশের সাধারণ মানুষের কথা । সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার কথা, সেটা হবে সর্ব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার কথা। তবে বলে রাখছি স্বাধীনতা মানেই কিন্তু উগ্রতা নয়, সেটাও আবার জনগনকে ভাবতে হবে । তবেই একটি দেশে সব সময়ই শান্তি বিরাজ করবে । আর তখন সরকারও আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে । কিন্তু এখন আমরা কি দেখছি একটি দেশের সরকার যখন লং টাইম ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের মধ্যে দাম্ভিকতা অহমিকা বেড়ে যায়, সরকারের নিজস্ব কিছু অতি উৎসাহিত ব্যক্তি বেশী বেশী নিজের স্বার্থের জন্য, বেনিফিটেড বা বেনিফিশীয়ারীরা এমন কিছু কাজ বা কথা বলে ফেলেন যা সরকারের জন্য বিপদ হয়ে যায় । তখন ইচ্ছে করলেই সরকার তাদের শাস্তি দিতে পারেন না, কারন তারা সরকারের চারপাশে অক্টোপাশের মত ঘিরে আছে । তাদেরকে শাস্তি দিলে তখন সরকার নিজেই বিপদে পড়ে যাবেন, তখন অনেক কিছু দেখেও না দেখার বান করে সরকারকে হজম করতে হয় । এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা । বর্তমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এখন এরকমই চলছে।