আলোরধারা ডেস্ক:
বন্দরে মিশুক চুরি ও চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত চাঁন মিয়া ও রফিকুল ইসলাম নামে দুই ব্যাক্তিকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেপ্তারকৃতদের পুনরায় আদালতে প্রেরণ করে।
অভিযুক্ত চাঁন মিয়া আড়াইহাজার উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার আলম সোহেল মিয়ার ছেলে ও চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি থানার কাটিরহাট এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম। এর আগে গত বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তাদেরকে চুরি ও চাঁদাবাজির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে রিমান্ডে আনে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় মিশুক চালক আক্তারুজ্জামান ওরফে আসলাম কাজের উদ্দেশ্যে মিশুক গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। পরে ওই দিন বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার কুশিয়ারাস্থ সিরাজশাহ দরবারের সামনে অজ্ঞাত নামা ৪ জন যাত্রী কুড়িপাড়া যাওয়ার কথা বলে মিশুক গাড়িতে উঠে। পরে যাত্রীবেশী চোরের দল মিশুক চালক আসলামকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে মিশুক গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে চোরের দল ওই দিন সন্ধ্যায় অটো চালকের মায়ের ব্যবহারকৃত ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে তার ছেলেকে আটকে রাখা হয়েছে ।
৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়াতে হবে। টাকা নিয়ে কোথায় আসতে হবে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া এলাকায় যেতে বলে। তাদের কথা অনুযায়ী মিশুক চালকের মা ও তার বড় ভাই যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া এলাকায় এসে মিশুক চালককে খোঁজতে থাকে। এ পর্যায়ে গত বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৫টায় শহরের খানপুর হাসপাতাল থেকে ফোনের মাধ্যমে মিশুক চালকের মা আসমা বেগমকে জানায় তার ছেলে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় মিশুক চালকের মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম সোহাগসহ সঙ্গীয় ফোর্স যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় শনিমাপতাহ গোবিন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মিশুকটি উচ্চারসহ ও মিশুক চোরকে মোন্তার করতে সক্ষম হয়।