নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
রূপগঞ্জের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে হাইওয়ে পুলিশের মান্তিতে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে আদালত হাইওয়ে ও মহাসড়কে থ্রী-হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া দেয়। নির্দেশনা থাকা সত্যেও এসকল রোডে থ্রী-হুইলার চালচল বন্ধ হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ যানবাহনের চালকরা। ফলে মহাসড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় অসংখ্য নিষিদ্ধ যানবাহন হাইওয়ে পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে অবৈধ গাড়ির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। মাঝে মধ্যে যে সকল গাড়ি ধরা হয় সেগুলোর খবর নিয়ে জানাগেছে যে সকল গাড়ির মাশোহারা দেওয়া হয় না সেগুলোর মাসোহারা টাকা আদায় করতে গাড়িগুলো আটক করা হয়।
আর মাসিক টাকার জন্য প্রতিমাসে নতুন নতুন স্টিকার নিষিদ্ধ এ সব যানবাহনে ব্যবহার করে থাকে ।
স্টিকারের মাধ্যমে চেনা যায় তাদের গাড়ি মান্থলি হয়েছে।প্রতি মাসেই চেঞ্জ হচ্ছে নতুন নতুন স্টিকার কোন মাসে পুতুল স্টিকার, কোন মাসে ভাঘের স্টিকার , কোন মাসের সিংহ স্টিকার, আবার কোন মাসে শহীদ মিনারের স্টিকার এরকম প্রতি মাসেই নতুন স্টিকার লাগিয়ে মান্থলি চলছে নিষিদ্ধ যানবাহনের।
রিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় হাইওয়ে সড়কে তাদের আটক করে রেকার বিলের নাম করে এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে হাইওয়ে পুলিশ।
ভ্যান গাড়ি থেকে প্রতিমাসে এক হাজার করে টাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআইকে দিতে হচ্ছে। মহাসড়কের ষ্ট্যান্ডগুলো থেকে মাসিক টাকা দিতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এরকমই অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে।হাইওয়ে পুলিশের মাসিক চাঁদার টাকা না দিলে তখনই চলে গাড়ি আটকের মহড়া।
এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে চালক ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।
হাইওয়ে পুলিশের টিআই আবু নাঈম তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের কোন মাসোহারার সিস্টেম নাই। যেসকল গাড়ি আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।