আলোরধারা ডেস্ক:
ফতুল্লার চানমারী বেইলী স্কুল গলিতে মিশুক চালক দুলালকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর মিশুক ছিনতাইয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামী পেশাদার ছিনতাইকারী মো. হামজা লিংকনসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাতে তাদেরকে মাসদাইর শস্মানঘাট সংলগ্ন রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. হামজা লিংকন (৩৫) ও একই থানার মাসদাইর আজমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত আহসান উল্লাহ ব্যাপারীর ছেলে শাহজামাল (৩৯)। অভিযুক্ত মো. হামজা লিংকনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক এবং মো. শাহজামালের বিরুদ্ধে অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে বলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক ভোর সাড়ে ৪টায় ফতুল্লার মাসদাইর স্মশান ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পেশাদার ছিনতাইকারী লিংকন ও শাহালমকে গ্রেপ্তার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চবটী- মুন্সিগঞ্জ ও মাসদাইর সড়কে ছিনতাই করে আসছিলো। চানমারী বেইলি স্কুল সড়কে দুলাল হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান সন্দেহভাজন আসামী ছিলো লিংকন। বুধবার ভোরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতু্ল্লা মডেল থানা পুলিশ মাসদাইর স্মশানঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিংকন সহ শাহালম কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানা সহ জেলার বিভিন্ন থানায় বহু সংখ্যক মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ আগস্ট) মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিপরীতে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ মহদ সড়কেরে পশ্চিমে চানমারীস্থ বেইলি স্কুল গলির সড়কে দুলাল (২০) নামক এক চালককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর বেটারী চালিত মিশুক গাড়ী ছিনিয়ে নিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
নিহত দুলাল শেরপুর জেলার জিনাইগাতি থানার দুদনই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ও ফতুল্লা মডেল থানার তল্লা গ্রীন রোড মির্জা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া।