চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৫ নেতা–কর্মীর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁদের কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। ২৫ আসামি হলেন মো. জিহাদ, মো. হাসেম, মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, মো. আলী, নুরুল আলম, মো. সোহেল, বাদল মিয়া, মনোয়ার হোসেন মানিক, মো. রুবেল, মো. শাহআলম, সৈয়দ মাহবুব-ই-খোদা জিতু, জিয়াউর রহমান, নুর মোহাম্মদ কালু, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন মনা, ইসহাক জয়, রাসেল আহাম্মদ, আল আমিন, মো. ইসমাইল, জসিম উদ্দিন, মো. ফোরকান, শামসুল আলম, মো. দেলোয়ার, মকবুল হোসেন এবং মো. শফিক। তাঁরা সবাই বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মী। গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ৬০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। নগরের খুলশী থানায় করা মামলা দুটির একটির বাদী আওয়ামী লীগের কর্মী আরিফুল ইসলাম। আরেকটির বাদী পুলিশ। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। গত বুধবার নৌকার ওই কার্যালয়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই নির্বাচনী কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের কর্মীর বাদী হয়ে করা মামলায় নগর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদ খান বাদী হয়ে করা মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।