আলোরধারা ডেস্ক:
ছাত্রলীগের কিছু কর্মীকে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে অংশ গ্রহণের নির্দেশ বিএনপির নেতা কর্মীদের । এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ পন্থি লোকজনকে মারধর ও কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে রাতে এমন অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো- আতাউর রহমান মুকুল (৬০), নুর মোহাম্মদ পনেছ (৫২), মো. সজিব হোসেন (৩৩), নাজমুল হক রানা (৪৮), মো. আজিজুল হক রাজিব (৪৪), হুমায়ুন কবির বুলবুল (৫০), দিপু (৩৮), হান্নান (৩৮), হান্নান (৩৮), ইকবাল (৪৮), বাবু খান (৪৫), টুটুল (৩৫), জিপু (৩০), আফজাল (৩০), রানা (৪৫), রিদয় (৩৫), মো. সেলিম (৫০), শুভ (৩০), ফয়সাল আহম্মেদ রবিন (৪২), শৈকত (৩৫), তন্ময় (২৫), রাসেল (৪০), হাবিবুর রহমান দুলাল (৪৯) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (৪২)।
এদের মধ্যে বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ পরেছ (৫২), ধামগড় সেনেরবাড়ী এলাকার ডা. জাকির হোসেনের ছেলে মো, সজিব হোসেন ও কদমরসূল এলাকার মৃত. নুরুল হকের ছেলে মো. সজিব হোসেনসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কবিলের মোড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের অফিসটি ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় রাতে বন্দর থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনের নামে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ কর্মী চিতাশাল এলাকার মো. খালেক মিয়ার ছেলে মো. সোহেল। মধ্যরাতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম পাটোয়ারী বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলের বাড়ি। সেখানে বিকাল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিটিং হয়। মিটিং শেষে সন্ধ্যায় কার্যালয়টি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা স্বীকার করেছে তাঁরা মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনের নামে মামলা হয়েছে। এজহার নামিয় ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।