আলোরধারা ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর আপনারা যদি ‘একে ফরটি সেভেন’দিয়ে, আওয়ামী পুলিশ বাহিনী, আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বাহিনী দিয়ে যদি আমাদের রুখতে (থামানো) চান। তাহলে আমরা প্রমান করে দিব ১০ ডিসেম্বর রাজপথ কার দখলে থাকবে। সেদিন প্রমাণিত হবে বাংলাদেশের রাজপথ শুধু বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের।
রবিবার (২০ নভেম্বর) মাসদাইর তৈমুর আলম খন্দকারের বাসভবনের মজলুম মিলনায়তনে, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আজকে তারেক রহমানের দোয়া মাহফিল থেকে আমরা একটি শপথ করবো, আগামী ১০ ডিসেম্বর আমরা ঢাকার মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকবো লাখো জনতাকে নিয়ে। আমাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে, আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ভাইয়ের নামে মামলা করা হয়েছে, গায়েবী মামলা করা হয়েছে। আমরা এই সরকারকে ও এই প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই, এই মিথ্যা মামলার জন্য আগামী দিনে আপনাদের কোর্টে দাঁড়াতে হবে। দেশে আইন আছে যারা মিথ্যা মামলা দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। আমি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর অনুরোধ রাখবো, যারা মিথ্যা মামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্দ করে ফৌজদারি মামলা করা হোক।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের এক যুদ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামকে উদ্দেশ্য করে সেন্টু বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের এক যুদ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকতে। আমি তার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই বুকে আমরা ধারণ করতেছি আপনাদের ফ্যাসিবাদী সরকারের পুলিশ বাহিনীর বুলেট। আপনারা বন্দুক, থ্রি রাইফেল ও একে ফরটি সেভেন দিয়েও আমাদের দমাতে পারেন নাই। তার প্রমান আমাদের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী নারায়ণগঞ্জে। সেদিন শাওনকে আপনারা হত্যা করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ আপনাদের জবাব দিয়েছে। আজকে শাওনের রক্ত হাতে নিয়ে বলতে চাই, বাশেঁর লাঠি না বুলেট দিয়েও আমাদের জনতার জোয়ার রুখতে পারেন নাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এড. জাকির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম মজনু, মো. মনিরুজ্জামান মনির, হাজী ফারুকে হোসেন, এড. রিয়াজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহার হোসেন বুলবুল, আওলাদ হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. ইসমাঈল মাষ্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আনিছুর রহমান মোল্লা, শরীফুল ইসলাম শিপলু, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম মিঠু, সাবেক মহানগর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, সাবেক প্রচার সম্পাদক এড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, মহানগর বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, এড. আলী হোসাইন, শহীদ হাসান, বন্দর থানা বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম রিপন, বাবুল হোসেন, বাদল, আব্দুল আলী, কলাগাছিয়া ইউনিয় বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেন, স্বপন মাহমুদ, সাফী, যুবদল নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর যুবদল নেতা মুছা, মহিউদ্দিন প্রমুখ।