আলোরধারা ডেস্ক:
ফতুল্লায় কাশিপুর বিসিকের ২নং মেইন রোড ও গলির মাথা হতে শাসনগাও শাহী মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দোকান ও ফুটপাত থেকে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা তাইজুলের লাগামহীন চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিসিকের ২নং গলির মাথা হতে শাসনগাও শাহী মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কোন হকার্স ফুটপাত এবং দোকান বসলে তাইজুল ইসলাম আল আমিন জেলা ছাত্রদলের নেতাকে দিতে হয় দৈনিক চাঁদা। এই এলাকার মধ্যে ১০০টির অধিক দোকান রয়েছে।
এরমধ্যে চটপটি দোকান, খাবারের দোকান, হরেক মাল বিক্রি দোকান, ঘড়ির দোকান,জুতা সেলাই দোকান, চায়ের ভাসমান রেডিমেট কাপড় দোকানসহ কয়েকটি মুদির দোকান রয়েছে।
ওখানে কেউ দোকান বসালে বা কেউ মাল রেখে বিক্রি করলে চাঁদাবাজ তাইজুল ইসলাম আল আমিনকে দিতে হয় চাঁদা। তাকে চাঁদা না দিলে ওই অঞ্চলগুলোতে হকাররা বসতে পারে না। প্রতিটি দোকান থেকে ২৫০ সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ৫০ টাকা হারে দৈনিক প্রতিটি দোকানিকে দিতে হয় চাঁদা তাইজুলকে।
ফতুল্লা বিসিক অঞ্চলে তাইজুল খুবই বেপরোয়া। তার অত্যাচারে ওই অঞ্চলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এইসব দোকান গুলিতে চাঁদা আদায় কালিন কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে খেতে হয় তার বাহিনীর হাতে উত্তম মধ্যম।
তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। স্থানীয় অনেকের মতে এই চাঁদাবাজ তাইজুলকে এখনই লাগাম ধরে না টানলে ভবিষ্যতে আরো ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে।
শীর্ষ সন্ত্রাসী জেলা ছাত্রদলের নেতা চাঁদাবাজ তাইজুল আইনুল হকের ছেলে শাসনগাও মাতবর বাড়ির বাসিন্দা। এই তাইজুলের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। তার রয়েছে জুট সন্ত্রাস কার্যক্রম। বিসিকের ক্রনিয়া গ্রুপ হতে দীর্ঘদিন যাবৎ জুট সন্ত্রাস করে আসছে এই চাঁদাবাজ তাইজুল। বিসিকে জুট সন্ত্রাস নামেও রয়েছে তার পরিচিতি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ছাত্রদলের এই ক্যাডার ফতুল্লার সরকারদলীয় একটি মহলের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ওই অঞ্চলে আধিপত্য এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে জেলা ছাত্রদলের ক্যাডার তাইজুল। স্থানীয় অনেক আওয়ামী লীগ কর্মীদের রয়েছে এ ব্যাপারে অনেক ক্ষোভ।
বিএনপির ছাত্রদলের ক্যাডার হয়েও কিভাবে এই চাঁদাবাজি এবং জুট সন্ত্রাসী করে ধাবরিয়ে বেড়ায়। এই প্রশ্ন অনেকেরই মনে। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানানেই সে যে দলের হোক না কেন চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।