আলোরধারা ডেস্ক:
প্রবাসীর জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ‘দলিল জালিয়াতি’র আশ্রয় নিয়েছে অভিযুক্তরা।
নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলী আদালতে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর হত্যার হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আরও একটি সাধারণ ডায়রী করে ভূক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত কামাল মুসলিমনগর এলাকায় এতিমখানা মোড়ে মৃত. ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে।
দীর্ঘ ২১ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে এখন নিঃস্ব মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকার চান্দের চর গ্রামের মৃত. তোতা মিয়ার ছেলে মো. সুরুজ মিয়া।
স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে চর বক্তাবলীর পূর্ব গোপাল নগর এলাকায় রেখে ১৯৯১ সালে চর বক্তাবলী মৌজায় আরএস ৭৯০৮ দাগে ১০ শতাংশ জমি রেখে প্রবাসে চলে যান মো. সুরুজ মিয়া। তাঁর পাঠানো টাকা দিয়ে আরও চর বক্তাবলী মৌজার সাড়ে ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে স্ত্রী তাসলিমা বেগম। এরই মধ্যে তাসলিমা বেগম মুসলিমনগর এলাকায় এতিমখানা মোড়ে মৃত. ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে কামালের সাথে সর্ম্পকে জড়ায়।
পুলিশ সুপার বরাবর দেওয়া অভিযোগে প্রবাসী সুরুজ মিয়া উল্লেখ করেন, কামালের সাথে তাসলিমার সর্ম্পক জানতে পেরে ২০১২ সালে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আসি। স্ত্রী তাসলিমাকে সংশোধনের চেষ্টা করি। কিন্তু স্ত্রী তাসলিমা প্রায় ৪০ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা ও টাকা পয়সা নিয়ে কামালের সংসারে চলে যায়। আমার শেষ সম্বল ১০ শতাংশের বাড়িতে বসবাস করিতে থাকা অবস্থায় কামালের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করে। আমি প্রাণের ভয়ে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে চলে যাই। এ সুযোগে তারা আমার ১০ শতাংশ সম্পতি মো. মিনহাজ উদ্দিন ও হাজী আ. আফাজ উদ্দিনকে গ্রহিতা ও আমাকে দাতা দেখিয়ে জাল-দলিল তৈরি করে (দলির নং-১৩১২৬)। যার কোন বালাম বই নাই। নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলী আদালতে একমি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জমিতে যেতে চাইলে এখন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায়ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করেন। (যাহার নম্বার-১৭৯, তাং-০২/১১/২০২২ইং)।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল জানান, ১০ শতাংশ জমির ওই দাগে মোট ৯৩ শতাংশ জমি। ৪ ভাইয়ের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে। কিন্তু এক ভাই তাঁর প্রাপ্ত জমির দ্বিগুন বিক্রি করে দিয়েছে। সেখান থেকেই কিনেছে সুরুজ মিয়া। সুরুজ মিয়া প্রবাসে থাকা অবস্থায় তাঁর ছেলে তানজিল জমিটি নিয়ে একাধিকবার বসেছে। সমাধানের সময় ছেলে নিজের নামে লিখে নিয়েছে জমিটি। পরবর্তীতে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
অভিযোগটি অস্বীকার করে আম-মোক্তার নামা দলিলে সুরুজ মিয়ার নিয়োজিত মো. সালাউদ্দিন পলাশ বলেন, কামাল সম্পূর্ণ মিথ্যা কলা বলেছে। আমরা জমি হস্তান্তর ও মিউটিশন দেখেছি। সেখানে যে জমি গুলো দখল দেখানো হয়েছে, সেগুলো জাল-জালিয়াতির দলিল। সেগুলো বলিয়ম ভূক্ত নয়। এ বিষয় নিয়ে মামলাও হয়েছে। আদালতে চলমান। তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।