ইসলাম ধর্মকে অবমাননা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা।
মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত ফৌজদারি কার্যবিধি ২৬৫ ধারায় আসামি সেফাত উল্লাহকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। গণমাধ্যমকে তথ্যটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া।
আরো পড়ুন…অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ১৪০ এসপি
এর আগে গত ৬ জুন সেফুদার বিরুদ্ধে মামলার বাদী আলীম আল রাজী জীবন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় মোট সাক্ষী ছিলেন পাঁচজন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরপর মামলার অভিযোগ তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি সেফাত উল্লাহ সেফুদা অনলাইনে একাধিক ভিডিওর মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কটূক্তি করেছেন, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
তিনি এমন মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের শামিল।
সামাজিক মাধ্যমের বিতর্কিত ব্যক্তি সেফদা চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার চেরিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে থাকছেন ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। সেখানে বসেই তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবে নানা ভিডিও পোস্ট করে ভাইরাল দেশের মানুষের কাছে।