আলোরধারা ডেস্ক:
চার দিনের সফরে দিল্লি গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা একটি বৈঠকে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি একটি মুসলিম ধর্মস্থান এবং একটি হিন্দুর ধর্মস্থান পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী ।
সোমবার সকলের দিকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মমতা ব্যানার্জী । তার সঙ্গে দিল্লি সফরে গেছেন তার ভাতিজা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী।
আগামী বছর, ২০২৩ সালে জি-২০ (G-20) গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির সম্মেলনের সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব পেয়েছে ভারত । আন্তর্জাতিক নেতাদের এই সমাবেশের সুষ্ঠু আয়োজনের স্বার্থে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ে সোমবার বিকাল ৫টায় বৈঠক ডাকা হয়েছে দিল্লিতে । ওই বৈঠকের সভাপত্ত্বি করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সেই বৈঠকেই উপস্থিত থাকবেন মমতা ব্যানার্জী । মমতা ব্যানার্জী বলেন, আজ বিকেল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী G-20 এর প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছেন। আগামী বছর এই সম্পর্কিত বেশ কিছু বৈঠক পশ্চিমবঙ্গেও হবে ।
তবে আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের কোনো সম্ভাবনা নেই মমতার । এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না G-20 বৈঠকের ফাঁকে ওয়ান-অন-ওয়ান বৈঠকের কোনো সম্ভাবনা আছে ।
আগামীকাল মঙ্গলবার রাজস্থানের আজমির শরিফে যাবেন মমতা । সেখানে সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় চাদর চড়াবেন মমতা । এরপর তিনি পুষ্কর নামক জায়গায় ব্রম্মার মন্দির দর্শনে যাবেন ।
গত প্রায় কয়েকশো বছর ধরে ওই সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় চাদর চড়ান হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ । সেই সুফি ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আজমির শরিফের দরগায় যেমন ভারতীয় রাজনীতির রাজনীতিবিদরা চাদর চড়িয়েছেন, তেমনি বিদেশের রাষ্ট্র নেতারাও ভারত সফরে এসে আজমির শরিফ পরিদর্শন করে চাদর চড়িয়েছেন । আর এবার সেখানেই যাচ্ছেন মমতা ।
আজমির শরিফের খুব কাছেই রয়েছে পুষ্কর । স্থানীয় মানুষ বলে গোটা পৃথিবীতে একমাত্র পুষ্করেই রয়েছে দেবতা ব্রহ্মার মন্দির । পুষ্করের হ্রদের সামনে গিয়েও প্রার্থনা করেন পুণ্যার্থীরা । সেখানেও যাবেন মমতা ।
এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার দিন সকালে আজমির শরিফ যাব, সেখান থেকে পুষ্কর যাবো । এরপর রাতে ফের দিল্লিতে ফিরে আসবো ।
তিনি আরও বলেন, আজমের শরীফ থেকে পুষ্কর- এটাই আমার স্বপ্নের প্রকল্প । আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন আজমির শরিফ এবং পুষ্করে আমি প্রকল্প বাবদ পুরো অর্থ বরাদ্দ করেছিলাম । তখন রেল মন্ত্রণালয় বলেছিল এটা কি সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান নয়? আমি বলেছিলাম আজমির শরীফ ও পুষ্কর যদি সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান (communal program) হয় তবে আমাকে তাই করতে দিন । কারণ একটা মুসলিম এবং আরেকটি হিন্দুদের পবিত্র স্থান । বহু মুসলিম আজমির শরিফে বেড়াতে যান । তারা আমার কার্যালয় এসে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল । তাই আমি সেখানে পরিদর্শনে যাচ্ছি ।
আগামী বুধবার দলের সমস্ত সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করবেন তৃণমূল প্রধান।