আলোরধারা ডেস্ক:
নারায়নগঞ্জে প্রতারক ডলির আর কত প্রতারনা চলবে? জানতে চায় মানুষ ।একজন মেয়ে বা মহিলা কত প্রতারনা করলে তার প্রতারনার ষোলকলা পূর্ণ হবে এটা নারায়নগঞ্জবাসী জানতে চায়?
এই রির্পোট লিখার আগে আমরা ডলি সম্পর্কে একটু তথ্য নিলাম। তথ্য নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারলাম তার প্রতারনার ইতিহাস। অভিনব কায়দা কৌশল খাটিয়ে তিনি মানুষের সাথে প্রতারনা করেন। এই মহিলার পুরো নাম জিয়াসমিন আক্তার ডলি, বর্তমান ঠিকানা জামতলা হাজি ব্রদার্স রোড, তার বাবা ও মা থাকেন ফতুল্লা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড তল্লা । তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের রামপাল এলাকায়। এই ডলি অনেক আগে স্বামীকে নিয়ে নারায়নগঞ্জ চলে এসে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া থাকেন। দেখতে একটু চালাক চতুর চটপটে, গুছিয়ে ভালভাবে কথা বলেন, অনেক মানুষের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তিনি নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন নাটকের মঞ্চেও কাজ করেন। তখন সে নিজেকে নাট্য ব্যক্তিত্ব হিসাবে ভালো ভালো মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে।কিন্তু সখ্যতার আড়ালে ছিল অন্য কিছু। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে বিভিন্ন তালবাহানা করে, স্বামী সন্তানদের অসুস্থ, দূর্ঘটনার কথা বলে প্রচুর মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্বসাত করেন।
এই পর্যন্ত একটি ফিরিস্তি দিলে আপনারা বুঝতে পারবেন এবং তথ্য অনুযায়ী লিখতে হচ্ছে সাজিম নামের এক ভদ্রলোক থেকে ৪৫ হাজার, সেলিমের কাছ থেকে ৪০ হাজার, মরহুম শাহাজালাল মেম্বার থেকে ১০ হাজার, সাজু নামের এক ভদ্রলোক থেকে ১০ হাজার, টুসি নামক এক বোন থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার, মাহফুজ নামক এক ভাই থেকে ৫ হাজার ও কেয়া রহমান এর কাছ থেকে ১৩ লাখ ৬০ হাজার এবং সিমা নামক আর এক বোন থেকে ২০ লাখ টাকা এই পর্যন্ত তার অর্থ আত্বসাতের বৃত্তান্ত । সব মিলিয়ে প্রায় ৩৭ লাক্ষ টাকা তার কাছ থেকে মানুষ পাবে। এছাড়াও নাম না জানা আরও অনেক লোকের কাছ থেকে পরিবারের কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। অনেকে খুব কষ্ট করে টাকা জমিয়েছেন, ব্যবসার কথা বলে নিয়েছেন, লভ্যাংশ দিবে বলে নিয়েছেন, সন্তানের লিখা পড়ার কথা বলে নিয়েছেন, বাবার অসুস্থতা মা-র অসুস্থতার কথা বলে নিয়েছেন। তিনি একজন পাকা অভনেত্রি হয়ে মানুষের মন গলিয়ে টাকা বের করতেন। প্রয়োজনে পায়ে ধরতেন, সারাদিন বাসায় বসে থাকতেন, কাদঁতেন তখন মানুষের মন গলে যেত, মানুষকে তিনি হিপনোটিজম করে ফেলতো।আরও বলতো এই এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ পর দিয়ে দিব, কারো কাছে বলতো তিন মাস পর দিয়ে দিবো, কেউ সরল বিস্বাশে দিয়েছেন আবার কেউ স্ট্যাম্পের মাধ্যমে দিয়েছেন, কেউ আবার ব্লাইন্ড চেকের মাধ্যমে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে মানুষগুলি টাকা দিয়ে তাকে উপকার করেছেন, এখন তাদের শত্রুতার কারন তারা টাকা কেন চাইলো।
আমরা আরো তথ্য নিয়ে জেনেছি টাকা চাইতে গিয়ে মিথ্যা মামলার স্বিকার হয়েছেন কেয়া রহমান, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দেন, তার মেয়ে ও তাকে না-কি কেয়া মেরেছে। তা-ও তার বাসায় গিয়ে লোকজন নিয়ে। এরকম ভাবে একটি মামলা ও অভিযোগ কেয়ার বিরুদ্ধে দিয়েছেন এই প্রতারক ডলি। এছাড়া আমরা আরও তথ্য পেলাম তিনি না-কি একাধিক স্বামী পরিবর্তন করতেও ওস্তাদ।
সর্বশেষ এসব মানুষের দাবী প্রতারক ও মামলা বাজ ডলির প্রতারনা কি শেষ হবে না। এখন এই সমস্ত মানুষগুলি তাদের কষ্টের টাকা ফেরত চান নয়তো এই মিথ্যা মামলাবাজ ডলিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেন এসব ভোক্ত ভোগি মানুষ। নয়তো মানুষ টাকা চাইতে গেলেই মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে এখনও অনবরত হুমকি দামকি দিচ্ছে এই প্রতারক ও মামলাবাজ জিয়াসমিন আক্তার ডলি ।