রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া এলাকায় ২০২১ সালে পুলিশের সোর্স আসিফকে চাকু মেরে হত্যার ঘটনায় পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। তারা হলেন- আলমগীর (৩১) ও রাজিব (২২)।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন।
শামীম জানান, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া এলাকায় পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে চাকু মেরে চাঞ্চল্যকর হত্যা করা হয়। সেই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি তারা।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর খিলগাঁও ও বাড্ডা এলাকায় তারা হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মিলে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল।
তাদের অবৈধ মাদক কারবারে যারাই বাধা সৃষ্টি করতো, তাদেরকে তারা অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স মৃত আসিফ তার কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এতে আলমগীর ও রাজিবসহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় জিন্নাত এবং তার সহযোগী আলমগীর ও রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়।
এরপর তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে। আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়াস্থ সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে আসামাত্র আগে থেকে ওৎপেতে থাকা আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে ঝাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে।
আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে সকল তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আসিফকে তার আত্মীয়-স্বজনরা ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহতের ভাই বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।